অবিরাম বৃষ্টিতে যশোর শহরে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার আগে সোমবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয় দিনভর বৃষ্টি চলে। এ কারণে শহর নীরব হয়ে পড়ে, একটানা বৃষ্টির কারণে অফিস আদালত, স্কুল কলেজে উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।
বিকেল থেকে শহরের রাস্তা ঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হোটেল রেস্টুরেন্টে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। সোমবার দিনভর কাঁচা বাজার ছিল ক্রেতাশূন্য। বিক্রেতারা বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসলেও অন্যদিনের মতো ক্রেতা পাননি।
শেষ বিকেলেই মুদিখানা, বিকাশ, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক্স শোরুম, টেইলার্স, ক্রোকারিজ, কসমেটিকস্, মোটর পার্টসের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে যায়। শহরের রাস্তায় যান চলাচল ছিল কম। সংকট ছিল রিকশার। রিকশার জন্য অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। রাস্তায় ইজিবাইক অন্যদিনের চেয়ে কম দেখা যায়। রিকশা ও ইজিবাইকের অভাবে অনেকেই বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় পায়ে হেঁটেই জরুরি কাজ সারেন।
পথচারী জাহীদ ইসলাম জনি বলেন,‘বিকেলে অনেকক্ষণ ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাইনি। হেঁটেই কাজ সারতে হয়েছে।’ মুদি দোকানি তরিকুল বলেন,‘দিনভর কাস্টমার ছিল না, বেচাকেনা হয়নি।’ বিকাশ এজেন্ট শামিম উদ্দিন বলেন,‘সারাদিন দোকান বন্ধ রাখি। সন্ধ্যায় দোকান খুললেও কোনো কাস্টমার ছিল না।’ ফার্নিচার ব্যবসায়ী নিলয় দাস বলেন,‘বৃষ্টির কারণে সারাদিন দোকানে কাস্টমার কম ছিল। বেচাকেনা হয়নি। এছাড়া অনেক কাজ আটকে আছে। সেসব কাজ শেষ করতে পারিনি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।