মোঃ ইমরান হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার: শ্রীমঙ্গল উপজেলার শহরতলীর বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাটার ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ মালামাল চুরি ঘটনা ঘটেছে।ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
গত ৩১শে আগষ্ট দিবাগত রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় এক রাতে ৮ দোকান চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুরি আতংকের বিরাজ করছে। চুরি হওয়া ব্যবসা প্রতিষঠানের মালিকরা জানান, ওয়াটার লিলি ফুড স্টোর প্রোঃ মোঃ রিয়াদ হোসেন উকিল বাড়ী রোড,সোনামিয়া রোড (মিশন রোড)’র দেবনাথ মেডিকেল হল, হবিগঞ্জ রোড রূপসপুর দূর্গাবাড়ী সামনে প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোর, আরকে মিশন রোড সি লেডিস টেইলার্স,কলেজ রোড কালিবাড়ির সামনে ছাদ ভ্যারাইটিজ স্টোর, কলেজ রোড কালী বাড়ির সামনেপূরবী স্টোর, কলেজ রোড আয়ুস ডিজিটাল স্টুডিও, কলেজ রোডের সুহাসিনী ফার্মেসীর সাটার ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি সংগঠিত হয়েছে। এ চুরির ঘটনায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃনদসহ পুলিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো পরিদর্শন করেছেন। রুপসপুর দুর্গাবাড়ী প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোরের প্রোপ্রাইটর লিটন দেব বলেন, ‘এই দোকানের উপর আমার সংসার নির্ভরশীল। চোরেরা দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ক্যাশ থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে’। চোরেরা ক্যাশ থেকে নগদ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে’। রুপসপুর দুর্গাবাড়ী প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোরের প্রোপ্রাইটর লিটন দেব বলেন, ‘এই দোকানের উপর আমার সংসার নির্ভরশীল। শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল একটি শান্ত শহর। হঠাৎ করে এই শান্ত শহর কেন অশান্ত হয়ে উঠলো? ঘুমিয়ে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা কিভাবে আবার জেগে উঠলো?’ এমন প্রশ্ন রাখেন।
এক রাতে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) নয়ন কারকুন বলেন, এ ঘটনায় বিভিন্ন সড়কের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। খুব শিঘ্রই দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।