জাহাঙ্গীর আলম,টাঙ্গাইলঃ

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাজাইল গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে(৪০) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় স্বগোত্রীয় দিনা সরকার(৩০) ও মণ্টু সরকারকে(৩২) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি দক্ষিণ) গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার(১৫ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে আসামি করে রোববার(১৩ জুন) ভিকটিম(ওই নারী) বাদী হয়ে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মো. শরফুদ্দীনের তত্ত্বাবধানে একটি চৌকষ টিম গঠন করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চৌকষ টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলার মির্জাপুর ও নাগরপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি ভিকটিমের স্বগোত্রীয় দিনা সরকার ও মণ্টু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দিনা সরকার ওই গ্রামের প্রকাশ সরকারের ছেলে ও মণ্টু সরকার স্বর্গীয় নারায়ন সরকারের ছেলে এবং ভিকটিমের(ওই নারীর) প্রতিবেশি।

এজাহারভুক্ত অপর আসামি ময়নাল মিয়ার ছেলে সবদুল মিয়াকে(৩৫) গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

প্রকাশ, গত ১১ জুন(বৃহস্পতিবার) দিনগত গভীর রাতে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল বড়চালা গ্রামের দিনা চন্দ্র সরকার, মণ্টু চন্দ্র সরকার ও সবদুল মিয়া নামে তিন ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ওই নারীর বাড়িতে যান।

তারা ওই নারীকে ডেকে ঘরের বাইরে এনে জোর করে বাড়ির পাশের বনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই বখাটেরা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীর মুখম-লসহ শরীরের স্পর্শকাতর সহ নানা স্থানে কামড়ে জখম করে চলে যান।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) ভর্তি করা হয়।