কেন্দ্রীয় কর্মসূচী চলাকালে খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় আরো আহত হন বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫ ফটো সাংবাদিকও।
সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে নগরীর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। তবে, বিএনপি নেতাদের দাবি ২৫জন নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
খুলনা মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলছিল। এ সময় নেতার্মীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয় এবং লাঠিচার্জ করে। পুলিশ আমাদের নেতাদের ওপর দুই দফায় হামলা চালায়। এতে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
এদিকে, পুলিশের লাঠিচার্জের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্থানীয় দৈনিক জন্মভূমি ও ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন আব্দুল হালিম, যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন আমির সোহেল, প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন ও এসএ টিভির ক্যামেরা পার্সন মোহাম্মদ ইব্রাহিম আহত হয়েছেন। তাদের খুলনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে মারমুখী আচরণ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার (২১ নভেম্বর) বলেছেন বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য যে কোনো আন্দোলন করতে পারে। সেখানে পুলিশ আক্রমণ করতে পারবে না। অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের উপর চড়াও হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মানবিক কর্মসূচীর আয়োজন করে নগর ও জেলা বিএনপি। সকাল থেকে প্রশাসন কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হাটতে বাধ্য হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয়। আমাকেও গুলি করার হুমকি দেয়। তৃতীয় দফায় এসে তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ এ সময় টিয়ার সেল ছোঁড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীদের টানা হেচড়া করে।’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।