রস বলে কথা, তাও আবার খেজুরের রস। এই কনকনে শীতে খেজুরের গাছ ও রসের দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অনেকেই। দুপক্ষ থানায় করেছেন অভিযোগ এবং মামলা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার তালটিয়া মধ্যপাড়ার ঢাকা-ট্টগ্রাম রেললাইনসংলগ্ন এলাকায়।
এই খেজুরের গাছ ও রসের দখল নিয়ে দুপক্ষের মাঝে প্রতি শীতেই চলে রেষারেষি, শত্রুতা— এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। অবশেষে উভয় পরিবারের সমঝোতার মধ্য দিয়ে পালাক্রমে চলত খেজুরের রস আহরণ। পালাক্রম হিসাব ভুল করে আবার বাকবিতণ্ডা,হামলা-পাল্টাহামলা চালায়। এ ঘটনা শেষ পর্যন্ত গড়াল থানায়।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠেছে— এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি মহল ঘটনা আরও জটিল ও রসালো করে সুবিধা নিচ্ছে।
রোববার জামাল মিয়ার স্ত্রী মানিজা বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে আসামি করে পূবাইল থানায় মামলা রুজু করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন— একই পরিবারের গৃহকর্তা মজিবুর রহমান মন্টু(৫০) এবং তার তিন ছেলে আরমান (২৫), সোলেমান (৩০), লোকমান (২৮) ও পাশের বাড়ির রুবেল (২৫)।
পরিবার সূত্র থেকে জানা গেছে, পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছাড়া পুরুষেরা। তাই একপক্ষের অভিযোগের বাদী বাড়ির গৃহবধূর মানিজা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানতে পারেন খেজুরগাছ তাদের না। গাছ হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশে অবস্থিত রেলওয়ে বিভাগের। তাই পুলিশ বলছে— অবৈধ উপায়ে রেলওয়ের খেজুরগাছের রস আহরণ করে খাওয়া বা বিক্রি আইনত অপরাধ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পূবাইল থানার এসআই রাসেদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, মামলার আসামি তিনজন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। অন্য দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।