অলোক মজুমদার, চিতলমারী বাগেরহাটঃ

  ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে চিতলমারী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পালিত হলো মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু অশোক কুমার বড়াল, নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব লিটন আলী,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর শরীফুল হক জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল কর্মসূচি।

মহান স্বাধীনতার স্থাপতি,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন, থানা প্রশাসন,মুক্তিযোদ্ধা গন, বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষক সমাজ,সাংবাদিক বৃন্দ,বিভিন্ন স্কুল,স্কাউট, আনছার সদস্য।

বিভিন্ন সংগঠন কুচকাওয়াজ করে শহীদদের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি,লেখা লিখি তার মূলে বঙ্গবন্ধু। ৭ই মার্চের অগ্নিঝরা বক্তব্যে বাংলার দামাল জনতা রক্তক্ষয়ী নয়মাস যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে।ত্রিশলাখশহীদ,দুই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা।স্বাধীনতার মান যে কোন মূল্যে আমাদের রাখতে হবে।বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়তো আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। তার ত্যাগের মান আমাদের রাখতে হবে। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ওশহীদদের প্রতি যথাযথ সন্মান জানানো হয়।

২৬মার্চের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হোসেন খাঁন, সম্পাদক বাবু পীযুষ কান্তি রায়, সহকারী কমিশনার ভূমি জান্নাতুল আফরোজ স্বর্না, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি আফিসের কর্মরত সদস্য বৃন্দ,উপজেলার সকল অফিসার সহ কর্মীবৃন্দ,সুধী সমাজ,পুলিশ প্রশাসনের কর্মীবৃন্দ, ভাইসচেয়ারম্যান মাহাতাবুজ্জামান,মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান স্বপ্না সহ আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক  সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেনি পেশার আগনিত মানুষ।

উপজেলার সব বিদ্যালয় সামাজিক দূরত্ব মেনে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক ২৬ মার্চ পালন করেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জরুল হক মোল্লা  ২৫ মার্চ ও২৬মার্চের আলোকপাত করেন সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনি কক্ষে।এ সমঢ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন