![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2022/01/3050c6b7-cc09-4871-af0d-2463335c9470_wl.jpg)
২০১৬ সালে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মিতালিকে রেখে চলে যান তাঁর স্বামী। এখন সেই ছেলের বয়স পাঁচ বছর হতে চলেছে। মা ও ছেলে বলতে গেলে যুদ্ধ করে টিকে আছে এই শহরে। তবে ফুটপাতে বসেই এই মা স্বপ্ন দেখছেন, ছেলেকে ‘অফিসার’ বানাবেন।
তবে এ স্বপ্নের কথা বলে নিজেই আবার বললেন, ছেলেকে অফিসার বানাতে তো অনেক টাকার দরকার। ফুটপাতে বসে মানুষের ওজন মেপে মিতালিকে কোনো দিন ২০০ টাকা আবার কোনো দিন ৫০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় আলো–আঁধারি পরিবেশে মিতালি রানী দাস ছেলেকে পড়াচ্ছেন—ক,খ,গ…। সুর করে পড়ার শব্দে থমকে দাঁড়াতে হয়। পরে কথা হয় মিতালির সঙ্গে। মিতালি জানান, সাজেদা ফাউন্ডেশনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র খুললে সেখানে ছেলে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত থাকার সুযোগ পাবে।
তারপর ছেলেকে কোথায় রাখবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হচ্ছে। ফুটপাতে বসে ছেলেকে এখন নিজেই পড়াচ্ছেন। কিন্তু ছেলেকে তো স্কুলে ভর্তি করতে হবে, তা নিয়েও চিন্তা তাঁর। কথা শেষে মা ও ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা মিতালি বললেন,‘ভবিষ্যতে কী আছে কপালে, তা তো জানি না।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।