ডাঃ আজাদ খান, ষ্টাফ রিপোর্টার জামালপুর: জামালপুর পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড পলাশগড়ে অবস্থিত মুন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিকে রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি ভূমি ব্যবসায়ী মহল। তাদেরকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় শিক্ষকদের প্রতি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা মিলেছে অভিযোগের সত্যতার প্রামাণ্য চিত্র। দেখা গেছে বিদ্যালয়টির পেছনের বেশ কয়েকটি প্লটের রাস্তা নেয়ার পাঁয়তারা করছে বিশেষ মহলটি। এজন্য ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের গাছ কাটা হয়েছে, টয়লেটকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিক দিয়ে উত্তর প্রান্তের সীমানা পর্যন্ত রাস্তা টেনে দেওয়া হয়েছে। আর উত্তর সীমানা ঘেঁষে ভূমি ব্যবসায়ী মহল তৈরি করছে প্লটের ভিতরের রাস্তা। তারা রাস্তাবিহীন জমি কমমূল্যে কিনে এখন বিদ্যালয়ের জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে প্রায় ৩/৪ গুণ লাভের স্বপ্নে বিভোর হয়ে করছে এ অনৈতিক কাজ।
এ কাজে বাঁধা দেয়ার কারণে ১৩ বছর ধরে পিয়ন হিসেবে চাকরী করলেও আলফাজকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এলাকাবাসী এ অবৈধ রাস্তা বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে প্লটের (জমির) ব্যবসায় লাভবান হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যালয়টির ভিতর দিয়েই এই রাস্তাটি নির্মাণ করছে।
প্লটক্রেতাদের বলা হচ্ছে এই রাস্তাটা প্লটেরই বিদ্যালয়ের না। অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. ছরোয়ার হোসেন শান্ত বলেন, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবেই বলছি এই রাস্তাটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য। স্কুলের জমি প্লটওয়ালাদের কিভাবে দিব? কোন প্রতিষ্ঠানের জমি অন্য কাউকে দেয়া যায় তা আমার জানা নেই।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কাউকে ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার এখতিয়ার নাই। মেইন রোড থেকে স্কুলের অফিস রুম পর্যন্ত ইটের সলিং করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে বৃষ্টিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কষ্ট না হয়। অপরদিকে এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন তোলেননি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।