রাজশাহী ব্যুরো:রাজশাহীর বাঘায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ৯৫ শতাংশ জমির পাট কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খান পুর এলাকায়। এ ঘটনায় গত বুধবার (১১- ০৮-২১) ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম মোল্লা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লা তার নিজ নামীয় ৫০ শতাংশ ও কট বন্দক নেয়া ৪৫ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেন। উক্ত জমির তফসিল ( সাবেক জেএল নম্বর -১৮৬,জেএল নম্বর দিয়াড়া -১৮৯, খতিয়ান নম্বর-১,দাগ নম্বর দিয়াড়া-১৮১,১৮৪,সাবেক খতিয়ান নম্বর-৩ সাবেক দাগ নম্বর -২৯)।কিন্তু ওই ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মৃত নজরুল সরকারের ছেলে রাশেল সরকারের নেতৃত্বে আশসাব সরকারের ছেলে রাকিব,মৃত হশেম সরকারের ছেলে আশসাব সরকার,নওশেন আলীর ছেলে জাহেদুলসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে জোর পুর্বক ঐজমির পাট কেটে নেয়। ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম বলেন,খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে নিষেধ করলে ইউপি সদস্য রাসেল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং আমাকে কুপিয়ে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। আমি প্রাণের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাসেল সরকার অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি ওই জমি ক্রয় করার জন্য বায়না দিয়েছি মর্মে আমি পাট কেটে নিয়েছি। জমির বায়না নামার কোন লিখিত প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে সে এই প্রতিবেদককে বলে তার কাছে কোন প্রামাণ নেই।
এ ব্যাপারে গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,জোরপূর্বক পাট কেটে নেওয়ার ঘটনা শুনেছি।আমার ইউপি সদস্য রাসেল মেম্বার ও আব্দুর রহিম এর জমি ক্রয়-বিক্রয়ের টাকা নিয়ে এসমস্যা হয়েছে।আমরা বসে শালিস মিমাংশা করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওই এলাকায় দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।