শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাসের নি:শর্ত মুক্তিসহ ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তার দাবিতে সাংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের পৌরমার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিসার্চ এন্ড এমপউয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন (রিও) এবং ক্যাম্পেইন ফর পোটেকশন রিলিজিউয়াস মাইনোরিটিজ ইন বাংলাদেশ (সিপিআরএমবি)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রিসার্চ এন্ড এমপউয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন (রিও) চেয়ারম্যান প্রফেসর চন্দন সরকার, সেক্রেটারী রাজেশ নাহা-ইয়োখ ও অ্যাডভোকেট দেবাংশু শেখর দাস।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চলতি বছরের ১৭ মার্চ ঝুমন দাসের মোবাইল থেকে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একই সাথে জুমন দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এই ঘটনার সাথেই জড়ানো অনেকেই জামিনে বের হয়েেছ,কিন্তু ঝুুমন দাসের মুুক্তি হচ্ছে না।

বার বার আদালতে জামিন চাওয়া হলেও তার জামিন না মঞ্জুর করা হচ্ছে। আমরা ঝুমন দাসের নি:শর্ত মুক্তি এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ তার জানমালের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্ত্রী সুইটি রাণী দাস বলেন, আমার স্বামী ঝুমন দাসের কোনো অপরাধ নেই। তবুও তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমার কোলে রয়েছে নয় মাসের শিশু সন্তান। সে বার বার তার বাবাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। বাবার আদর সোহাগ না পেয়ে কেঁদে কেঁদে দিন কাটাচ্ছে। আমার সন্তানের দিকে চেয়ে আদালতের কাছে আমার স্বামীর নি:শর্ত মুক্তি চাই।

ঝুমন দাসের মা নিভা রাণী দাস বলেন, ছেলে কারাগারে থাকায় আমার চোখে ঘুম আসে না। খেতে মনে হয় না। আমার বুক ফেটে যায়। কী অপরাধ ছিল আমার ছেলে ঝুমনের। অন্যান্য অপরাধীরা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু আমার ছেলে এখনও কারাগারে। আমি মা হয়ে তা সইতে পারছি না। আমার ছেলের মুক্তি চাই।