লালমনিরহাট জেলা সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চর খাটামারীতে চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে গেছে প্রায় বছর দশেক আগে কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি।তাই বাধ্য এলাকাবাসী নিজেরাই করছেন রাস্তা নির্মাণ।

জানা গেছে , একটা সময় পাশের ধরলা নদীর পানি চরখাটামারী মামা-ভাগিনা বাজারের একটু পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো কিন্তু পলি জমে এখন কয়েক একক জমিতে পরিণত হয়েছে।

এখন নদী নেই তবুও বর্ষাকালে নদী আর বন্যার পানিতে টইটুম্বুর।চলাচল করার উপায় নেই।প্রায় এক কিলোমিটার এর বেশি রাস্তাটি ভেঙে গেছে বছর দশেক আগে।

কয়েকবার এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন কাজ হয়নি।নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী নিজেরাই, নিজেদের রাস্তা নির্মাণে হাত দিয়েছে ৫ দিন হল।সময় লাগবে আরো বেশ কিছুদিন। চরখাটামারীর নুরনবী, দুলাল, রব্বানী ও দুলু মিয়া বলেন, আমরা দুর্ভাগা এলাকার মানুষ।মেম্বার চেয়াম্যানের সাথে অনেক বার কথা হয়েছে।তারা বলেছেন হাতে কাজ নেই।কাজ আসলে করে দেয়া হবে।ওনারা নজর না দেয়ার কারণে,এলাকার লোকজন সহ কাজে হাত দিয়েছি।

মফিজুল ইসলাম বলেন, হামরা কি মানুষ নোয়াই।একটু যদি দয়া করি দেখি গেলো হয়।হামার রাস্তাটা করি দিলে হয়।

সেচ্ছায় মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এলাকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ১২ বছর এ সমস্যার ভুক্তভোগী।ভাঙ্গা রাস্তার পশ্চিম পাশে চরখাটামারী মামা-ভাগিনা বাজার, চরখাটামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরখাটামারী নুরানী তা”লিমু্ল কুআান ও হাফেজিয়া মাদরাসা, রয়েছে পূর্বে রয়েছে আরও একটি মাদরাসা, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে তাদের যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়।আবার কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পরে তাহলে সাইকেলে করে বাজারের অটোস্ট্যান্ডে যেতে হয়। হাট-বাজারে যেতে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ইউপি সদস্য সোলায়মান আলী বলেন, আমাকে তারা মৌখিক ভাবে জানিয়েছে।তাদেরকে সময় দিয়েছি।৪০ দিনের কর্মসুচির মাধ্যমে কাজ করে দিবো।৪০ দিনের কর্মসুুচির শ্রমিকরা অন্য জায়গায় কাজ করছে।কাজ হলে এখানে কাজ করাবো।

ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, এলাকাবাসী নিজেরা কাজ করছে, এটা আমি জানি না।স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ কেনো!আমার শ্রমিক আছে।এলাকাবাসী আমাকে জানালে কাজ করে দিবো।