মোঃ এনামুল হক লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টারঃ
নড়াইল জেলা শহর সংলগ্ন সীমাখালী এলাকার বাস চালক মোঃ লিয়াকত শিকদার (৫২) হত্যাকান্ডের ঘটনায় নড়াইল সদর আউড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যাসহ ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত লিয়াকত শিকদারের স্ত্রী আসমা খাতুন বাদি হয়ে রবিবার ২৯ আগষ্ট রাত ১১ টার পর নড়াইল সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।এছাড়া ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদি আসমা খাতুন বলেন এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতার জের ধরে লিয়াকত শিকদারকে হত্যা করা হয়েছে। এজাহার ভুক্ত আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তির কামনা করেন।তিনি বলেন প্রধান আসামী আউড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাশ। এই পলাশ ছিলেন মেম্বার। বিভিন্ন সময় এরকমের ঘটনার সাথে জড়িত এলাকায় অনেকেই জানে। আর সেই প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ২৮ আগষ্ট রাত ৮ টার দিকে নড়াইল শহর সংলগ্ন সীমাখালী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে বাসচালক লিয়াকত শিকদারের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত সোহরাব শিকদারের ছেলে।
ঘটনার দিন তিনি মোটরসাইকেল যোগে লোহাগড়ায় যান। হয়তো অন্য কোন স্হানে হত্যা করে সীমাখালী এলাকায় সড়কের পাশে তাকে ফেলে রেখে যায়।
নিহত লিয়াকত শিকদার নড়াইল কালিয়া সড়কে যাত্রীবাহী বাস চালক ছিলেন।বর্তমান ঢাকা রুটে পরিবহন চালাতেন তার ছেলে পাভেল শিকদার বলেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু বলেন নিহত লিয়াকত শিকদারের শরীরে ১৭টি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার ১ ঘন্টা আগে লিয়াকত শিকদার বাড়ি থেকে ১ মাইল দুরে নাকসি মাদ্রাসা বাজারে স্হানীয় ১০/১২ জনকে সাথে নিয়ে চা পান করছিলেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।বর্তমান সীমাখালী এলাকায় পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।