মোঃআজিজুর বিশ্বাস ,স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের বকজুড়ি খেয়া ঘাটে পারা পারে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নড়াইলের লোহাগড়া থেকে বকজুড়ির খেয়া ঘাট আলফাডাঙ্গা ফরিদপুরের যোগাযোগব্যবস্থার খেয়া ঘাট। প্রতিদিন এই ঘাটে পারাপার হয় হাজার ও মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বকজুড়ি খেয়া ঘাটের নৌকার মাঝিদের দেখা গেছে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে, এবং একজন পার হতে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা করে। ছিলো না কোনো সামাজিক দূরত্ব।

অনেকের মুখে নেই মাক্স। গত ৬/৮/২০২১ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের অনুসন্ধান করে দেখা গেলো একজন লোক ও একটা মোটরসাইকেল পার হতে নেওয়া হচ্ছে ৪০/টাকা থেকে ৫০ টাকা, একজন লোক ও একটা ভ্যান পারে নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা করে। এসময় পারাপারের যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা অনেকেই বলেন আমাদের সকাল বিকাল দুই বার করেই বকজুড়ির ঘাট পার হতে হয়। তাতে করে এই ঘাটে পার হতে লাগে ৫ মিনিট কিন্তু ২০ টাকা করে নেয় এরা।

তখন একজন মোটরসাইকেল চালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অনেক সময় দেখা যায় এই বকজুড়ি ঘাটে সন্ধ্যার পরে নৌকা থাকে না আর সেই সুযোগে এই নৌকা চালকেরা ২০০ টাকা না দিলে পার করে না। তিনি তখন আরও বলেন আমি আর মটরসাইকেল সকালে ৫০ টাকা দিয়ে পার হয়ছি,এখন আবার ৫০ টাকা দিয়ে পার হতে হবে। এসময় ঘাটের নৌকার মাঝি নয়ন এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমরা শুধু জন বিক্রি করি, কোন টাকা নেয়ার মধ্যে নেই, টাকা আদায় করে ইজারাদারের লোক, এদিকে আরেক নৌকার মাঝি হান্নান শেখ এর সাথে ঘাট কেনার বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন আমরা জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ফকিরের থেকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ঘাট কিনে নিয়েছি।

তখন তার কাছে বেশি ভাড়া নেয়ার কথা বললে তিনি বলেন আমরা উপরের নির্দেশে বেশি ভাড়া নিচ্ছি। এই বিষয়ে মূল ঘাটের ইজারাদার মোঃ ওহিদ মৃর্ধার সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের প্রথমে একরকম বলে পরবর্তীতে ক্যামেরার সামনে অন্যভাবে বক্তব্য দেন। আগের বক্তব্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। ওহিদ মৃর্ধা বলেন আমি আমার জয়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ফকিরের থেকে ২লক্ষ ৮ হাজার টাকা দিয়ে এক বৈশাখ মাস থেকে আরেক বৈশাখ মাস পর্যন্ত ঘাট কিনেছি। এসময় পারাপারে টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাগজ পত্রে উল্লেখ আছে একজন মানুষের দশ টাকা ভাড়া লাগবে পারে, মোটরসাইকেল লোক সহ ৩০ টাকা, এবং ভ্যান পারে ২০ টাকা নিতে হবে।

এবং ৫লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ঘাট কিনার কথা অস্বীকার করে বলেন ২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা দিয়ে ঘাট কেনা হয়েছে চেয়ারম্যানের থেকে, আপনারা যখন এসেছেন আমি ভাড়ার টাকাটা কম দিতে বলব। করোনাকালীন অতিরিক্ত লোক নেয়ার কথা জানতে চাইলে ওহিদ মৃর্ধা বলেন ৬ জন যাত্রী থেকে ৮ জন যাত্রী নেওয়ার জন্য প্রশাসন নির্দেশনা দিয়েছেন, হয়তো একটু বেশি লোক নেওয়া হচ্ছে বলে এড়িয়ে যায় তিনি। এ বিষয়ে জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃআক্তার হোসেন ফকিরের সাথে মুঠোফোনে প্রথমে কথা হলে তিনি বলেন প্রতিবেদককে দেখা করে কথা বলতে, এরপরে চেয়ারম্যান এর সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন ইজারাদার কে ডেকে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলে ও এর নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। পরবর্তীতে সর্বশেষ ১১ / ৮/২০২১ তারিখ বুধবার সকাল থেকে দুপুর ১২ টা ৫৩ মিনিটের সময় পর্যন্ত অনেক বার চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ফকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনটা রিসিভ করেন নাই।