নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ

গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১তারিখ ফাতেমা (১৬ নামের একটি মেয়ে কে লক্ষীপাশা জননী সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ফাতেমার এপেন্ডিসাইড অপারেশন করেন‌ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে পুনরায় আবার অপারেশন করেন। ‌
ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারণে ই মূলত (ফাতেমা ১৬) এর মৃত্যু হয় বলে জানান তার বাবা। ফাতেমা কে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ এপেন্ডিসাইড অপারেশন করেন ডাঃ সাহাবুর রহমান তারপর রোগীর পেট ফেঁপে থাকার কারণে দ্বিতীয় বার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ নারী পেঁচিয়ে গেছে বলে পুনরায় অপারেশন করেন ডাঃ সাহাবুর রহমান।

পরবর্তীতে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়, এবং গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ ফাতেমা মারা যায়।

জননী সার্জিকাল ক্লিনিকের মালিক মিজানুর রহমানের সাথে রোগীর মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কথা হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যায়।

ফাতেমার স্বজনরা বলেন এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়, একের পর এক অপারেশনে রোগীর মৃত্যু ঘটছে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সাহাবুর রহমানের হাতে।

ভূল অপারেশনের কথা ফাতেমার বাবা বলেন, ডাক্তারের ভুল অপারেশনে গত কাল খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল আমার মেয়ে মারা গেছে। ফাতেমার বাবার বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে। শশুর বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে।

লাশটি খুলনা থেকে লোহাগড়ার দিঘোলিয়া গ্রামে আনা হয় এবং তার স্বজনরা লাশের সৎকার করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় ডাঃ সাহাবুর রহমানের অপারেশনের কোনো অভিজ্ঞতা নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফাতেমার বাবা ।

ডাঃ সাহাবুর রহমান এ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার ছাড়া নিজে রোগী কে অচেতন করে অপারেশন করেছে বলে জানা যায়।

ডা: সাহাবুর রহমান তিনি খাম-খেয়ালিপনা করে রোগীকে ২ বার অপারেশন করেছে বলে জানা যায়। ফাতেমার বাবা বলেন আমার মেয়ে কে আমি পোস্টমেডাম করাবো না বলে মামলা দায়ের করি নাই। আপনাদের কাছে অনুরোধ এই ডাক্তার নামক কসাইকে এই এলাকা থেকে সরান।