পুঠিয়ায় ট্রাক ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এসময় সিএনজির যাত্রি ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে সুমনুজ্জামান (৩৮) ও চারঘাট উপজেলার রাসেদুল ইসলাম (৩০)।
এছাড়াও লেগুনার যাত্রী ভোদা (৫৫), রাসেল (২১), জিল্লুর রহমান (২২), সাগর আলী (২২), রনি (২৭), মঞ্জুরা বেগম (৬৫), পিঞ্জিরা (৩০), তুফান (৮) ফেরদৌসী (৪৫) ও আব্দুল্লাহ (১৫) গুরুতর আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকার-রাজশাহী মহসড়কের পুঠিয়া ফায়ারসার্ভিস সংলগ্ন ঘোষপুকুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, নাটোর থেকে রাজশাহীগামী একটি ট্রাক (নং-ঢাকা মেট্রো-ট ২২-৯০৩৯) ও পুঠিয়া থেকে নাটোরগামী যাত্রী বোঝাই লেগুনার সাথে উপজেলার ঢাকার-রাজশাহী মহসড়কের পুঠিয়া ফায়ারসার্ভিস সংলগ্ন ঘোষপুকুর নামক স্থানে পৌছানো মাত্রই মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
এসময় যাত্রী বোঝাই লেগুনাটি দুমড়েমুসড়ে সড়কের পার্শ্বে পড়ে। এতে লেগুনার যাত্রী সুমনুজ্জামান ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এছাড়াও রাসেুদলসহ গুরুতর আহত লেগুনার যাত্রী সবাইকে পুঠিয়া ফায়াসার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রামেক হাসপাতালে যাওয়ার পথে সুমনুজ্জামান মারা যায়।
এব্যাপারে পবার হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ইনচার্জ মোফাক্কারুল ইসলাম জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে রয়েছে।
নিহতদের আত্বীয়-স্বজন কোন অভিযোগ ছাড়াই লাশ চাইলে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক ট্রাক ডাইভার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং এ বিষয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।