একদিন পুলিশ লাইন মাঠে মাপজোকসহ নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে খাকি পোশাক গায়ে জড়িয়ে দূরন্ত কৈশোরকে পেছনে ফেলে হয়েছিলেন পুলিশ সদস্য। তারপর এক পদে টানা ৪০টি বছর রাতদিন কাজ করে গেছেন। এক জেলায় স্ত্রী-সন্তান রেখে দিনরাত কেটেছে অন্য জেলায়। অনেক ঈদও করা হয়নি পরিবারের সঙ্গে। আজ সমাপ্তি ঘটেছে তাদের চাকরি জীবনের। বিদায় সংবর্ধনা আর শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দিয়ে সাজানো গাড়িতে করে তাদের পাঠানো হলো বাড়িতে।
বিদায় বেলায় আবেগ আপ্লুত সবাই। পাবনা জেলা পুলিশে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যাওয়া ৩ জন এএসআই ও ২৩ জন কনস্টেবলকে চাকরি জীবন শেষে একসঙ্গে বিদায় জানানো হয়েছে। সোমবার (২ আগস্ট) জেলা পুলিশ লাইন্সের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসআই আব্দুল জলিল মিলনায়তনে তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশের। অনাড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের হাতে সম্মাননা ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, স্নিগ্ধ আখতার, জিন্নাহ আল মামুন, রোকনুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, নিঃস্বার্থ দেশসেবা দানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের নিকট ঋণী।
৪০ বছর আপনারা অনুকূল-প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে ব্যক্তিগত স্বার্থ উপেক্ষা করে পুরো বিভাগকে, দেশকে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে, চরম ত্যাগ শিকার করে যে সেবা দিয়ে গেলেন তা ছিল বিস্ময়কর, অনন্য এবং অসাধারণ। আপনাদের যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশ পুলিশ পাশে থাকবে। অনুষ্ঠানে অবসরে যাওয়া এএসআই ওমন আলী (সশস্ত্র) বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে চার দশক চাকরি করে দেশ মাতৃকার সেবা করতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। আমাদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার স্যারকে অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আমাদেরকে প্রয়োজন হলে আমরা আপনাদের পাশে থাকব। বিদায় সংবর্ধনা শেষে একসঙ্গে সবাই দুুপুরের খাবার খান। পরে ৩ জন এএসআই ও ২৩ জন কনস্টেবলকে জেলা পুলিশের একটি সুসজ্জিত গাড়িতে করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।