বেনাপোল (যশোর)প্রতিনিধিঃ রক্তাক্ত ও অশ্রুঝরা শোকাবহ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ইতিহাসের মহামানব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬-তম শাহাদাত বার্ষিকীতে সেদিনের সেই কালরাতে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ যারা
ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা, শার্শা  উপজেলা চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন
শার্শা উপজেলা আওয়ামী, উপজেলা নিবাহী কমকতা, বাংলাদেশ পুলিশের বেনাপোল পোট থানা পুলিশ, শার্শা  থানা পুলিশ । বিশ্ব মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণিত, বর্বর ও নৃশংসতম হত্যাকান্ডের
মধ্যে একটি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা। বাঙালী জাতি শোকাতুর হৃদয়ে শ্রদ্ধাভরে জাতির জনককে স্মরণ করছে।
কাঁদো বাঙালি কাঁদো এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ আমি কি তেমন সন্তান ? যখন আমার জনকের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শোক হোক শক্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্ট কালরাতের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। জাতির পিতা সহ সকল শহীদকে মহান আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস মন্জুর করুন। আমীন। শোকের মাস আগস্টের ১৫ তারিখে দুনিয়ার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষ ও বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠবন্ধু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা হারিয়েছি-যার জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না। আমরা পরাধীন থাকতাম। বছর ঘুরে ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় শোক দিবস আবারও আমাদের জাতীয় জীবনে ফিরে এসেছে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু সন্তান শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। সেদিন ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।