স্টাফ রিপোর্টার, বাঘারপাড়া (যশার) : যশেরের বাঘারপাড়ার মানিকদাহা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতির বিরুদ্ধে কমিটি গঠন ও সদস্যদের পাওনা টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে সমিতির সাবেক সহ সভাপতি ধনু বিশ্বাস প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযাগে উল্লখ করেছেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সমিতির সদস্যদের না জানিয়ে পাশ কাটিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা সমবায় আইনে নিয়ম নীতির পরিপন্থি। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সমিতির অনুকুলে সদস্যদের পাওনা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা বিতরণে অনিয়ম করা হয়েছে।
অভিযাগে আরো জানা গেছে, যশোর জেলা সমবায় কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক স্বাক্ষরিত টেষ্ট অডিট প্রতিবেদনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সমিতির ২০১৭-১৮ সনের অবটিত ৪ লাখ ২৮ হাজার ১৬ টাকা, ২০১৮-১৯ সন ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা লভ্যংশ বিতরণ দেখানো হয়েছে। যার কোন প্রমাণপত্র নাই। সর্বশেষ ২০১৮-২০১৯ সনের অডিট প্রতিবেদনে সমিতির ২ লাখ ৩৫ হাজার ৭২৫ টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে সমিতির মৎস্য প্রকল্পে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে। যার স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণ নাই। প্রমাণ বিহীন অর্থ খরচের মাধ্যমে তহবিল ঘাটতি প্রদর্শিত হয়েছে।
অভিযাগকারী ধনু বিশ্বাস বলেন, আমি একযুগের বেশি সময় ধরে সমিতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। সমিতির বিভিন্ন অনিয়ম, টাকা আত্মসাত ও জাল জালিয়াতি ঢাকতে আমাকে বাদ দিয়ে অতি গোপনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কারণে সভাপতির বিরুদ্ধ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
মানিকদাহা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি বিপুল বিশ্বাস বলেন, মোবাইলে সব কথা বলা যাবেনা। বাঘারপাড়ায় এসে স্বাক্ষাতে বলবানে। সমিতির অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, সমিতিতে কোন অনিয়ম নেই , আমরা কোন অনিয়ম করিনা ।
জানত চাইলে জেলা সমবায় অফিসার এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, মানিকদাহা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি বিপুল কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়েব এখনও দেখা হয়নি। বাঘারপাড়া উপজেলা সমবায় অফিসারের অফিস হয়ে আমার দপ্তরে আসব। সন্তোষজনক ব্যাখা দিত না পারলে সমবায় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২/১১/২০২১
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।