আশিকুর রহমান আদনান,জবি প্রতিনিধিঃ গত ১৮ই অক্টোবর (সোমবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে বাহাদুর শাহ মিনিবাস সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের সময় একটি রিকশায় ধাক্কা দেয়। রিক্সায় ছিলেন জবির দুইজন সহকারী প্রক্টর; শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী নূর হোসেন মুকুল। জানা যায়, বেপরোয়াভাবে চালিয়ে আসছিল বাহাদুর শাহ মিনিবাস এবং এসে সজোরে রিকশায় আঘাত করে। এতে আরোহীসহ রিকশাচালক মাটিতে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। পরে রিকশাচালককে ৫শত টাকাসহ তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং মিনিবাসের চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোতোয়ালি থানার উপ- পরিদর্শক নাহিদ ইসলাম গাড়িসহ চালক জুয়েল মিয়াকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারন জানতে চাওয়া হয়।এরপর লাইসেন্স এর কাগজ যাচাই করে উপ-পরিদর্শক নাহিদ হাসান পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ঘটনার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন দৈনিক করোতোয়াকে বলেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ে চিন্তা করি। গতকাল আমাদের সাথে যা ঘটেছে এতে আমাদের আঘাত কম হলেও রিকশাচালক গুরুতর আহত হয়েছে৷ প্রায় সময়ই শিক্ষার্থীরা আহত হয়।”
এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধান কি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে মিনিবাসগুলোর স্টপেজ বদলানোর চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দিয়ে এমন বেপরোয়াভাবে গাড়ি চললে শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য অনিরাপত্তা তৈরি হয়। শীঘ্রই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে আশা করছি।”
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।