যশোর প্রতিনিধি:  পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে যশোর মণিরামপুর উপজেলায় প্রবাসী এক হতভাগা স্বামীর সুন্দরী স্ত্রী সালেহা বেগমর পরকীয়া প্রেমিক নেংগুড়া বাজারের কাপড় ব্যাবসায়ী দুই সন্তানের জনক আঃ জলিল (৪৫) কে সঙ্গী করে অজানা সুখের সংসার গড়তে পাড়ি জমিয়েছেন চেনা আচেনা শহরে। সালেহা বেগমের ঘরে স্কুল ও কলেজ একটি ছেলে কন্যা সন্তান থাকলে গোপনে জলিল কে বিয়ে করেন ।

ফলে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আঃ জলিল একই উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের আবদুল বারীকের         ছেলে। সে দীর্ঘ দিন যাবত নেংগুড়া বাজারে কাপড়ের ব্যাবসা করে আসছেন। সালেহা বেগম একই ইউনিয়নের রতনদিয়া গ্রামের প্রবাসী শেখ শাহিনুর রহমানের স্ত্রী ও এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জননী। এ ঘটনায় শেখ শাহিনুরের পক্ষে থানায় একটি জিডি করেন পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, প্রবাসী শেখ শাহিনুর দীর্ঘ বছর আগে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের একই গ্রামের আ রশীদ গাজীর মেয়ে সালেহা বেগমকে। বিয়ের পর তাদের সুখের সংসার চলছিলো। এরই মাঝে বেশি আয়ের জন্য প্রবাসে পাড়ি দেন শেখ শাহিনুর রহমান। স্বামী প্রবাসে থাকা সুবাদে স্ত্রী সালেহা বেগম সংসারের যাবতীয় কেনাকাটা সহ প্রয়োজনীয় কাজে বাজারে আসা যাওয়া শুরু করে।

তারই ধারাবাহিকতায় একপর্যায়ে নেংগুড়া বাজারের কাপড় ব্যাবসায়ী আ জলিলের সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ তিন চার বছর মন দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ১৬ জানুয়ারী রবিবার মধ্য রাতে সালেহা বেগম ও আ জলিল নিজ বাড়ী থেকে নতুন করে সুখের সংসার গড়তে বাড়ী থেকে অজানা সুখের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন।

বিষয়টি জানাজানি হলে অত্র এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় একট কুচক্রী মহল ঘটনাটি ভিন্ন ক্ষাতে নিয়ে অর্থ বানিজ্যের খেলায় মেতে উঠেছে বলে একাধিক সূত্র নাম না প্রকাশে নিশ্চিত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনেকে জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি মহল নির্দোষ মানুষকে হয়রানির জন্য এবং অর্থ আদায় করতে থানায় অপহারণের মতো মিথ্যা মামলা দেওয়ার চক্রান্ত করে চলেছে। যারা আদেও এই পরকিয়া ভালোবাসা বা পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু জানে না।

অহেতুক তাদেরকে হয়রানি করে অর্থ আদায়ের জন্য চক্রান্ত করছে বলে নিশ্চিত করেন। তবে আ জলিল ও সালেহা বেগম পরকীয়া প্রেমের জের গত ১৩ আগষ্ট ২০২১ তারিখ বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে। যার বিবাহের কাবিনের তথ্যে পাওয়া যায় । এদিকে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন যায়গায় তাদের খোজাখুজি করার পর কোথাও তাদের না পেলে মনিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন শেখ শাহিনুরের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা।

কলমকথা/বি সুলতানা