মোঃ রাশিদুল ইসলাম,মাগুরা প্রতিনিধিঃ কোভিড-১৯ সংক্রমন বৃদ্ধির ফলে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য বাসায় গৃহশিক্ষক রেখে পড়াশোনা করালেও বঞ্চিত রয়েছে গ্রাম অঞ্চলের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা। গ্রাম অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরিবারের বাড়তি আয়ের জন্য তারা এই মহামারী করোনাকালীন সময় পরিবারের বাড়িতে আয়ের জন্য বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবারের বাড়তি আয়ের জন চলতি মৌসুমে কৃষকের ফসলী জমিতে আমন ধান রোপন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দৈনিক মজুরি বা ৪০-৫০ টাকা প্রতি শতাংশ কৃষকের জমিতে আমন ধান লাগিয়ে দিচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী সোহাগ (১২), বায়েজিদ (১৫), আলিফ(১০), সাব্বির (১১), শামীম (১৪) বলেন, করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে এজন্য আমন ধান লাগিয়ে টাকা আয় করছি। ধান লাগিয়ে যে টাকা পাই তা পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়। এই শিক্ষার্থীদের কারো বাবা ভ্যান চালাক কারো বাবা দিন মজুরের কাজ করেই সংসার চালায়। চলমান লকডাউনে বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উপার্জন, শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের কাজের ন্যায্য মূল্য দেওয়া হয় না, কিছু কৃষক আছেন প্রতি শতাংশ ৪০ টাকা করে দেওয়ার কথা থাকলেও কাজের পরে বিভিন্ন ভুল ধরে প্রতি শতাংশে ৫ থেকে ১০ টাকা কম দেয়।

অন্য জমিতে ধান লাগানের কাজ পাবে না বলে জোর করে কিছু বলতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন এ শিক্ষার্থীরা। তাদের কাছে পড়াশোনার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, করোনায় স্কুল বন্ধ রয়েছে। পরিবারের আর্থিক সংকট থাকায় চাইলেও প্রাইভেট পড়তে পারি না। বাবা মা শিক্ষিত না হওয়ায় আমাদের ইংরেজি, অংকসহ পাঠ্য বইয়ের পড়া শিখিয়ে দিতে পারছেন না। স্কুল খুলে দিলে আমরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারবো ও পড়াশোনা করতে পারবো। উপজেলার আমলসার, গয়েশপুর ইউনিয়নের কিছু শিক্ষার্থীরা করোনায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কেউ মাস্ক বিক্রিতে নেমেছেন কেউ ফল বিক্রি কেউ বা ভ্যান চালিয়ে পরিবারের সংসার চালাচ্ছেন।