মোঃ আলমগীর হোসেন, খাগড়াছড়ি: চিকিৎসা অনুষদের কোন সনদ না থাকলেও খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় নিয়মিত রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেন মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪) নামে এক ভুয়া চিকিৎসক। ব্যবস্থাপত্র দেয়ার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে রোগীদের সার্জারীও করেন এ ভুয়া চিকিৎসক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গায় মা মেডিকেল হলে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. হেদায়েদ উল্যাহ।
এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২২(২) ধারায় তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সেই সাথে ভবিষ্যতে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস না করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। অভিযানকালে মাটিরাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন নাথ ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্যানিটারী ও ফুড সেফটি ইনস্পেক্টর মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কুমিল্ল মেডিকেল সেন্টার প্রা. লি. (কুমিল্লা টাউয়ার) এ মেটিকেল অ্যাসিসটেন্ট ও সহকারী সার্জন হিসেবে কর্মরত মো. জয়নাল আবেদীন প্রশাসনসহ সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সম্মুখে মা মেডিকের হল নামে একটি ফার্মেসি গত ৩/৪ মাস ধরে চেম্বার করে আসছেন।
তিনি নিজেকে ডিএমএ, বিএইচই স্বাস্থ্য (এমবিএ) পরিচয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. হেদায়েদ উল্যাহ বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি এমবিবিএস/ বিডিএস ছাড়া রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারেননা। কিন্তু তিনি যা পারেন না তাই করছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।