“তিন বোনের একই সংসার” শিরোনামে বছর দুয়েক আগে অনলাইন পত্রিকার কল্যানে একটি নিউজ ফেস বুকে অনেকের চোখে পড়েছিলো।উৎসুক হয়ে নিউজটি পড়ে জানা যায় বৃদ্ধ বাবাকে দেখার জন্য তিন বোন বিয়ে করেনি।বড় বোন বিয়ে করে সংসার করছে।খুব ভালো মনের মানসিকতার পরিচয় ভেবে নিয়েছিলো সবাই।বাবা মারা যাবার পর তিন বোন এখনো একে আপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে তাদের একটি রাজত্ব আছে যার কাছে গ্রামের কর্তাব্যক্তিরা পর্যন্ত কুপোকাত।
হঠাত গতকাল ৯৯৯নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ করেন তাদের সাথে দুব্যাবহার করা হচ্ছে।মামলার নিষেধাজ্ঞা জায়গা থেকে গাছপালা কেটে নিচ্ছে বিবাদী কল্যান মন্ডল। এমন তথ্য জেলা থেকে ইউনিয়ন পরিষদে জানানোর পর থানায় জানানো হয়। যথারীতি তড়িৎগতিতে ওসি সাহেবের নির্দেশে থানার থেকে তদন্তে আসেন দারোগা শামিম সাহেব সহ সিপাহী।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় গতকাল ৯৯৯ নম্বরে করার পর পুলিশ আসে শিক্ষক কল্যানের বাড়িতে।কল্যাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে বিবাদমান জায়গার গাছের চিকন একটি ডাল তার ঘরের উপর পড়ায় ঘরের এবং কিষানের কজ করতে ক্ষতি হচ্ছে।কল্যান অনুরোধ করে মৃতঃ বীরেন্দ্র নাথ মধুর তিন কন্যাকে।রীনা গং তার কথায় বলে আদালতে বিচারাধীন,আদালতের রায়ই আমরা মানবো।আমরা গাছের ডাল কাটবো না বা কাটতে দিবো না।কল্যাণ তার ভাইয়ের ছেলেকে দিয়ে ডাল কাটায় ঘটে বিপত্তি।সাথে সাথে ৯৯৯নম্বরে ফোন। এমন তথ্য এই প্রতিবেদককে দেয় শিক্ষক কল্যান মন্ডল।
তিনি আরো বলেন গত তিন চার দিন আগে একবার থানায় রিপোর্ট করে আমার বিরুদ্ধে।পুলিশ থানা থেকে এসে দ্যাখে অভিযোগ মিথ্যা।এর আগে আমি ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত কেস করে হয়রানি করছে।কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিলেও তারা উচ্চ আদালতে আপিল করেছে।আমার নানি(মায়ের মা) স্কুল করার জন্য জায়গা দেয় আর সেই স্কুলে আমি চাকরি করেছি।স্কুলের কোন ক্ষতি হলে আমি সহ্য করতে পারিনা। সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন নির্মানাধীন ভবন সংলগ্ন জায়গা তাদের দাবি করে ভবনের লোহার রড বাঁকা করে জোর করে ঘর তুলে দেয়।রীনা গংরা আদালতে মামলা করলে উকিল কমিশন গঠন করে,তারাও নির্মানাধীন ঘরের জায়গা স্কুলের এই মর্মে রায় দেয়।তাতে ও তারা আপিল করে এবং স্কুলের কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে বিবাদী করে মামলা দিয়েছিলো।রাতারাতি সেখানে শিব মূর্তি স্হাপন করে এবং নিজেরা তা নিজেদের লোক দিয়ে রাতের আঁধারে সরিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করায় ওসি স্যার নিজে তদন্তে এলে আমি সত্যকথা বলায় স্কুলের সভাপতি সুশান্ত কুমার মজুমদার,নিত্যানন্দ মজুমদার ও আমার নামে আদালতে মিথ্যা” ৭”ধারা মামলা করে যা এখনো বিচারাধীন।স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না।তাদের কিছু জমি স্কুলের সীমানার মধ্যে থাকায় পরিবর্তন করে নিতে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক৷ কুমার বড়াল,আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পীযুষ কান্তি রায়, জেলা পরিষদ সদস্য মোহন আলী বিশ্বাস,মাধ্যমিক শিক্ষাঅফিসার মফিজুর রহমান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য,সন্তোষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হরেন্দ্র নাথ শিকদার,ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিনির্মল মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিশির মজুমদার, উপজেলা সংাবাদিক বৃন্দ,স্কুল প্রতিষ্ঠাতা হরিদাস বিশ্বাস,অজিত মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ সহ কযেকগ্রামের লোকজন তাদের অনুরোধ করলেও তারা কারো কথা শোনেনা।স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তারা ভয়ভীতি দেখায়। শুধু আমি না এরকমের আরো অনেকের নামে মামলা করে তারা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
কল্যাণ মন্ডল আরো বলেন আমার বাড়িতে যারা কাজ করছিলো তাদের কাছ থেকে পুলিশ তথ্য নেয়।সমীর ব্রক্ষ্ম, শুকেশ পাইক সহ অনেকে বলেন তাদের অত্যাচারে আমরা প্রতিবেশীরা ভয়ে থাকি কখন যেন আমাদের নামে মামলা হয়।স্কুলের সভাপতি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে স্কুলের উন্নয়ন করে তার নামে কল্পনা, রীনা গং একাধিক মামলা করায় তিনি স্কুলের থেকে দূরে সরে গেছেন।তার দোষ সে স্কুলের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এলাকার কিছু কুচক্রী মহলেরপ্রত্যক্ষ মদদে তারা বেপরোয়া।আমরা তাদের সম্পর্কে জানলেও বলতে সাহস পাইনা ভয়ে।এরা পারে না এমন কোন কাজ নেই।মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ প্রশাসন হযরানি করার জন্য তাদের বিচার হওয়া দরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা গেছে।
দারোগা শামিম সাহেব সরজমিনে তদন্তে সত্যতা না-পাওয়ার কারন কল্পনা,রীনা গংদের কাছে জানতে চাইলে তারা নিরুত্তর ছিলো।তিনদিন পূর্বে অভিযোগ করেছিলেন,আজ ৯৯৯ ফোন করে অভিযোগ করেন। মগের মুল্লুক পেয়েছেন নাকি যখন খুশি যে কারো নামে অভিযোগ করে নিরীহ লোকদের হযরানি করার চেষ্টা করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।