মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের মিরপুর হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক (মোহতামিম)এর অস্থাবর মালামাল ক্রুক করার দির্দেশ দিয়েছে আদাদলত।

এএসআই রানা মিয়া আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত আসাদ আল হোসাইনের অস্থাবর মালামাল ক্রুক করতে তার বাড়ি মিরপুরে যান। আসাদ আল হোসাইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কমিটিকে না জানিয়ে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, ব্যাংকে টাকা জমা না করা, অনুমোদিতহীন ব্যয়ের ভাউচার তৈরি, সংগৃহীত অর্থ খাতায় লিপিবদ্ধ না করা, দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করা, একাধিক মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক), নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা, প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে তার পিতার স্মৃতি সংযুক্ত করা, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার কারণে গুম বা হত্যার হুমকি দেওয়া, কমিটির অনুমোদন ছাড়া রশিদ বই ছাপানো, দেশের বাহিরে অবস্থান করা। প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ-সহ নানা অভিযোগ ওঠে। তিনি দাতাদের দানকৃত অর্থ নিজ হাতে রেখে ইচ্ছামতো ব্যয় করেন এবং উদ্ধৃত অর্থ মাদ্রাসা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত খরচ চালান। তিনি সৌদি আরবের অবস্থান । এভাবে ১৫ লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে আত্মীয়-স্বজন ও সহযোগীদের মাধ্যমে হিংসাত্মক আচরণ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ কারণে বেশ কয়েকটি দাঙ্গাও হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফখরুজ্জামান তার কাছ থেকে মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব সংগ্রহ করতে না পেরে সদলবলে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন এবং পাশেই আল-হেরা মাদ্রাসা নামে আরেকটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মুহতামিমের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে পাকিস্তানে পড়োয়া আসাদ আল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা নম্বর জিআর ২৩/২০২৪ (সদর) এ গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রুক করার নিদের্শ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় পলাতক রয়েছেন। মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের অভিযোগে মৌলভীবাজার ১নং আদালতে উক্ত মাদ্রাসা কমিটির পক্ষে মামলা ১৬৭/২৪ (সদর) তদন্তাধীন রয়েছে। ১৯৭১ সালে তিনি ও তার পিতার ভূমিকা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানান প্রশ্ন।

এএসআই রানা মিয়া বলেন, আমরা গিয়ে মালামাল লিষ্ট করে নিয়ে এসেছি এবং তা আদালতে জমা দিয়েছি।