চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলার প্রাতৃতিক রুপ।বিদ্রোহী কবি থেকে শুরু করে বিশ্ব কবির লিখনীতে ফুটে উঠছে বাংলার রুপ।চারিদিকে নতুন ধানের মৌমৌ ঘ্রান।
পৌষ মাসে রোপনকৃত ধানের চারা এখন পরিপূর্ন ধানে।ফাগুনে বাতাসে ধানের শীষে দোল খেললেও এখন শীষে পাকা ধানে ভরপুর।
বাগেরহাটের চিতলমারী সহ পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহে উঠতে শুরু করেছে গরমের ধান।কিছুদিন আগে গরম বাতাসে এবং কারেন্ট(মৌয়া)পোকার আক্রমনে ধানের কিছু ক্ষতি হলেও ধান পাকায় জমি মালিক সহ বর্গা চাষীদের মনে খুশির জোয়ার।কিন্ত সেই আনন্দে ভাটা পড়তে পারে এমন চিন্তা কৃষকদের।
গত বছর শুরু হওয়া মহামারী করোনার কারনে এ বছরো ধান কাটার সময় চলছে লকডাউন।২য় স্টেজ মোকাবেলা করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে।ধান কাটা শ্রমিকের ভয়াবহ সংকট চলছে কিষান বিক্রি খ্যাত ফকিরহাটে।ধান কাটা তেমন শুরু না হলেও বছরের এমন সময় হাটে আসে বিভিন্ন বয়সের কিষানরা।বাজারে গিয়ে দেখা গেছে এবকর তার চিত্র উল্টো।গায়ে মানুষ বাঁধে না।বছর দুই আগে বাজারে ঢুকতে কষ্ট হলেও এবার ভিন্ন চিত্র।তবে যারা বাজারে আসছে তাদের মূল্য অনেক বেশী।একজন দিন মজুরের দাম ৮০০-৮৫০টাকা।অথচ বর্তমানে এক মন ধানের দাম ৭৫০–৭৮০টাকা।সন্তোষপুরের চাষী দেবা মজুমদার জানায় এতো কিষানের দাম হলে সামনের বছর ধান চাষ কমাতে হবে।সব খরচ বাদে লাভের মুখ দেখা কষ্টকর।তার সাথে সুর মেলায় আশে পাশের অনেক চাষীরা।
কিষানের দাম এতো বেশী কেন জিজ্ঞাসা করলে আকপটে স্বীকার করে বলে ভাই বাজারে উঠতে আমাদের অনেক ভাড়া দিতে হয়েছে। করোনার সময় বাস গাড়ী চলছে না।ইজিবাইক,নসিমন,ভ্যান,মটরসাইকেলে ভাড়া দ্বিগুন।তাও পাওয়া যায় না।ভাই কি করবো,গরীব মানুষ দুইডা টাকার জন্যতো আমরা পরিবার ফেলে আসি।
কয়রা থেকে আগত সন্তোষ,দিপঙ্কর দাকোপ থেকে বিভাষ,রহমত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকাশ,চালনা,বাজুয়া,ডুমুরিয়া থেকে আগত ধানকাটা শ্রমিকরা বলেন আমরা বাজারে আসার সময় বেশী ভাড়া দিয়েছি তাই দাম বেশি চাচ্ছি।আমাদের ও লজ্জা করে এত দাম চাইতে।দর কষাকষির মধ্যে এক সপ্তাহ বা তার বরশি সময় কোন মালিকের বাড়ি যাই।
যে সব মানুষেন ধান আগে পেকেছে তাদের কিষান পেতে সমস্যা হচ্ছে। চিতলমারী কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছর চিতলমারী উপজেলায় একাধিক কম্পানীন ধান রোপন করেছে।উপজেলায় ৭ ইউনিয়নে ২১ টি ব্লকে ২৮,৫২৮ একর জমিতে হাইব্রিড ও ৩৮৩ একর জমিতে উফসী জাতেন ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৩০হাজার পরিবার ধান চাষের সাথে ওতোপ্রোতে ভাবে জড়িত।তবে শ্রমিক সংকটের কথা শুনেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ধান কাটার সময় শ্রমিকদের জন্য সব যানবাহনে তারা আসতে পারবে।তাদের পথে কোন মতে হয়রানি করা যাবে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।