মোঃ আজিজুর বিশ্বাস, স্টাফ রিপোর্টার নড়াইলঃ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নবগঙ্গা নদী খননের নামে দিনের বেলায় চলছে বালু উত্তোলন সেই বালু দিয়ে হচ্ছে পুকুর ও খাল ভরাটের কাজ, ড্রেজার মালিক মিলন শেখ বলছেন ঠিকাদার,ও ডিসি সাহেবের অনুমতি নিয়ে করা হচ্ছে বালু বিক্রির ব্যবসা।

১৫ ডিসেম্বর বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মল্লিকপুর গ্রামের কাজের ঠিকাদার টিপু, তার এরিয়া থেকে ওই এলাকার একটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন টিম এই কাজে জড়িত আছে।

তারা হলেন মুল ড্রেজার মালিক কুমড়ি গ্রামের বাল্লক খান,
কোলা গ্রামের নয়ন,ও পারমল্লিকপুর গ্রামের লিটন শেখ, নবগঙ্গা নদীর বালু অবৈধভাবে দিনের বেলায় উত্তোলন করে পুকুর,ও খাল ভরাটের জন্য বিক্রি করছেন।

এসময় পুকুর মালিক পারমল্লিকপুর গ্রামের মোঃশরিফুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি বালু কিনে পুকুর ভরাট করতেছি টাকা দিয়ে, আমার চাচা লিটন শেখ, ড্রেজার মালিক আমি তার সাথে ৪৫ হাজার টাকায় এই পুকুর ভরাট কন্টাক করেছি। বালু কোন যাইগা থেকে দেবে তা জানিনা।

এরপর লিটন শেখ এর সাথে বালু কাটার বিষয়ে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমরা ঠিকাদার টিপু ভাই কে বলে এই বালু উত্তোলন করে বিক্রি করতেছি, এবং ডিসি সাহেব,এর থেকে ঠিকাদার টিপু পাস নেছে, ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অফিসার এসে দেখে বলেছে কাটতে। এখন যদি কেচ হয় হোক কেউ এসে ধরে নিয়ে যায় যাবে এই বলে এড়িয়ে যায়।

কাজের সাইডের ঠিকাদার টিপু”র সাথে মুঠোফোনে ০১৭১২ ৯৫৬৮৩৯ নামের যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি টিপু না,সে এখানে নেই,এরপরে ফোনে কথা বলা লোকটা একটা নাম্বার দেন ০১৮৬৫৯০৪২০৭ এটাতে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

এসময় স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে একটি সিন্ডিকেট নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে, তারা ভয়ে তাদের কিছু বলতে পারছেনা, এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিষয়টি নড়াইল পানি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান উজ্জল কুমার সেন কে ০১৯১১৪৫৯৪৩২ নাম্বারে মুঠোফোনে জানানো হলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমার কাছে পুলিশ ও নেই, ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নেই, যে আমি কিছু করবো, এবিষয়ে আমি ডিসি মহোদয়,ও লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মহোদয়, এবং লোহাগাড়া থানার ওসি কে লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছি, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আপনারা সেখানে যোগাযোগ করেন।

এ বিষয়ে নড়াইল ডিসি মহোদয়ের এই মোবাইল ০১৭১৫০৮২৯৭১ /১৫ ডিসেম্বর নাম্বারে কল করলে ডিসি মহোদয় ফোনটা রিসিভ করেন নাই, এরপর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, লিখিতভাবে এরকম কোন চিঠি পায় নাই, আমি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে দেখছি।

তারপর মুঠোফোনে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এরকম কোনো চিঠি পেয়েছি কিনা আমার মনে নেই,দেখে বলতে হবে। এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ম্যাজিস্ট্রেট যদি আমার সহযোগিতা চাই আমি তখন তাদের প্রটেক্ট দিবো।

 

একটি মজার বিষয় হলো এখানকার ড্রেজার মালিক লিটন শেখ,পার মল্লিকপুর ও নয়ন কোলা ও গ্রামের বাল্লক খান কুমড়ি গ্রামের রয়েছেন অবৈধভাবে নদী থেকে বালু বিক্রয়ের কাজে নিয়োজিত। এরমধ্যে পার মল্লিকপুর গ্রামের লিটন শেখ সাংবাদিকদের বলেন , আমাদের ঠিকাদার টিপু ভাই কে পানি উন্নয়ন বোর্ড, ও ডিসি সাহেব অনুমতি দিয়েছেন বালু উত্তোলন করতে।