বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের সুন্দলপুর বাজারে গত (২৭ ফেব্রুয়ারী) রবিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬ টার সময় প্রায় শতাধিক জামায়াত-শিবিরের কর্মী সমর্থকেরা একটি ঝটিকা মিছিল বেরকরে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের ক্ষতি সাধন সড়কপথে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ভীতি প্রদর্শন এবং বোমা সদৃশ্য ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে অঙ্গাতনামা সহ ৫০/৬০ জনের নামে মণিরামপুর থানার এসআই যোগেশ চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২২

অভিযোগ উঠেছে উক্ত মামলায় সড়কপথে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ভীতি প্রদর্শন এবং বোমা সদৃশ্য ককটেল বিস্ফোরণের মতো বড় ধরণের কোন অপ্রতিকা ঘটনা না থাকলেও স্থানীয় একটি চক্র পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তাদের নিকট ভুল তথ্য দিয়ে এমনটাই করেছে ফলে মণিরামপুর থানা পুলিশের দায়ের করা নাশকতা মামলায় আটকের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে নৌকার সক্রিয় ভোটার হাতেম আলী (৪৮) নামের এক ব্যক্তি’কে। খোঁজ নিয়ে জানাযায় উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের আগরহাটি গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মৃত ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস এর ছেলে হাতেম আলী বিশ্বাস ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি শিক্ষক হাতেম আলী বিশ্বাস সম্পর্কে বলেন আমি যতদূর জানি তিনি কোন দলদারি করেন না, তবে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি তাবলিগ জামাতের সঙ্গে যুক্ত।

এবং ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সুমন হোসেন বলেন শিক্ষক হাতেম আলী বিশ্বাস কোন দল করেন না তিনি নিরীহ মানুষ। শুনেছি ঘটনার দিন সকালে হাতেম আলী তাবলীগ জামাত থেকে ফিরছিলেন এনম সময় সুন্দলপুর বাজারে জামাত-শিবিরের মিছিল হলে তাকে সন্দেহ করে পুলিশ ধরেনিয়ে গেছে।

কথা হয় শিক্ষক হাতেম আলী বিশ্বাস এর প্রতিবেশী সাংবাদিক তাজাম্মুল ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বুলু মেম্বর এর সাথে তারা বলেন হাতেম আলী একজন সাধারণ শিক্ষক কোন দলদারি করেন’না তবে সে এবং তার পরিবার সবাই বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে নৌকার ভোটার।

গত বরিবার জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ঝটিকা মিছিল সম্পর্কে কথা হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের সাথে তিনি মিছিলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন স্থানীয় কেউ জড়িত আছে কিনা এখনো জানতে পারিনি পুলিশ তদন্ত করছে তবে অধিকাংশ বাইরের লোকজন। ঘটনার দিন গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক হাতেম আলী বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে পরবর্তী দিন (২৮শে ফেব্রুয়ারি) পুনরায় একাধিকবার ফোন করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক হাতেম আলী বিশ্বাস এর তাবলীগ জামাতের সফরসঙ্গী সজিব বলেন আমরা ওইদিন সকালে ৬ টার সময় তাবলীগ জামাত থেকে ফিরছিলাম ইজিবাইকে খোদাবক্স, ফয়সাল, আবদুল্লাহ, শিক্ষা হাতেম আলী আমি ও ড্রাইভার সহ ৮ জন। আমরা যখন সুন্দলপুর বাজারে পৌঁছায় এমন সময় শিবিরের ঝটিকা মিছিল শুরু হয় তাতেই হাতেম আলীকে সন্দেহ করে গ্রেফতার করে পুলিশ অথচ আমরা এ বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানি না এবং আমাদের জামাত-শিবিরের মিছিল এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

স্থানীয় একটি চক্র হাতেম আলীর প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এবং পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ভুল তথ্য দিয়ে এমনটাই করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ নিরীহ মানুষের ভিতর গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে এলাকায়।

মণিরামপুর থানার এসআই যোগেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন মামলা ও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার আলামতের ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আমি এখন ব্যাস্ত আছি আপনার সাথে এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।