মোঃ জসিম উদ্দিন,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসের মাঝে খানসামায় কদর বেড়েছে শীতের ভাপা পিঠার। গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে সবার। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেই এখন ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। শীত এলেই একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা সকাল-বিকেল, এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এ ব্যবসায় ব্যস্ত সময় কাটান। এই পিঠার স্বাদে ক্রেতারা মুগ্ধ। শীতের সময় এখানকার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভাপা পিঠার ব্যবসা। একদিকে ভাপা পিঠার স্বাদ আর অন্যদিকে চুলার আগুন আর জলীয় বাষ্পের উত্তাপ যেন চাঙ্গা করে দেয় দেহমন। এ যেন শীতের আরেক আমেজ। মঙ্গলবার সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার একমাত্র বড় হাট পাকেরহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মোড়ে ও পাড়া-মহলস্নায় স্বল্প আয়ের লোকজন গড়ে তুলেছেন পিঠার দোকান। মূলত সেখানে ভাপা ও চিতই পিঠা তৈরি হচ্ছে।রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পিঠার দোকানের ক্রেতা। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অনেককে আবার পিঠা খেতে দেখা যায়। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দের পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন। পথচারী মোহাসিন নামের এক ইপিজেড কর্মী জানান, তিনি প্রতিদিন রাতে কোম্পানি হতে বাসায় ফেরার পথে দুটি ভাপা পিঠা খান। পুরো শীতকাল সন্ধ্যার নাশতা পিঠা দিয়েই সারেন। পাশ থেকে আরেকজন বলেন, ঘরে পিঠা বানানোর রীতি উঠে যাচ্ছে। সেটা পুষিয়ে দেয় রাস্তার পাশের এই দোকানগুলো। সংবাদ সংগ্রহকালে এক পিঠা বিক্রেতা বলেন, এবার শীত শুরু হাওয়ার আগেই প্রচুর পিঠা বিক্রি হচ্ছে। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি হয়। তবে রাতে পিঠার চাহিদা বেড়ে যায়। তাই আয়ও এবার একটু বেশি হচ্ছে। প্রতিদিন ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা লাভ হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।