মণিরামপুরের সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের প্রধান সড়কটি জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের চরম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকার চলাচলের প্রধান এ সড়কটির প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তায় প্রায় হাঁটু পানি বেঁধে যায়। ফলে শতাধিক পরিবারের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও সড়কটি নিচু হওয়ায় টানা বৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দিন মজুর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের। কিন্তু তা দেখার যেন কেউ নেই। এলাকাবাসি দীর্ঘদিন প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের ৬নং-হাজরাকাটি ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া এলাকাবাসির চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। সড়কটি যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মোলামি ময়ার বটতলা থেকে পশ্চিম দিকে গ্রামের মধ্য দিয়ে খালকান্দা-ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। মোলাম মিয়ার বটতলা থেকে মাত্র ১’শ মিটার দুরে এ সড়ক সংলগ্ন হাজরাকাটি মাঝপাড়া বটতলা জামে মসজিদ অবস্থিত। ঠিক এ মসজিদের কাছেই সড়কের এ বেহাল অবস্থা বিদ্যমান। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এ মসজিদের সামনেসহ সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তায় হাটু পানিতে তলিয়ে যায় এবং সেটা রাস্তার উপরেই কয়েকদিন পর্যন্ত জমে থাকে। যে কারণে এলাকাবাসিসহ মসজিদে আগত মুসাল্লিদের সমস্যার সীমা নেই। তাছাড়া আশপাশে বসবাসরত জনসাধারণের চলাচলের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেই। যাতায়াত করতে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তাঘাটসহ মণিরামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সদর ইউনিয়নের ৬নং-(হাজরাকাটি) ওয়ার্ডে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। এলাকায় কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। অথচ এ এলাকাটি মণিরামপুর পৌরশহর সংলগ্ন। পৌরশহরের সীমানা থেকে এ ওয়ার্ডের এলাকা শুরু হয়েছে। অথচ আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ জলাবদ্ধতা সমস্যায় আছি। এখানে কোনো প্রকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার সুদৃষ্টি নেই এই এলাকার মানুষের জন্য। তারা বৃষ্টির পর দ্রæত পানি নিষ্কাশন চায়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এলাকাবাসী। শিক্ষক রবিউল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, এ এলাকার সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাটু পর্যন্ত পানি হওয়ায় আমাদের চলাচলে অত্যধিক কষ্ট হয়। তাছাড়া ময়লা পানির ভিতর দিয়ে মসজিদের প্রবেশ করতে হয়-যেটা আমাদের কাম্য নয়। এখানে যদি সরকারের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয় তবে এলাবাসিসহ মসজিদের মুসাল্লিদের জন্য খুবই ভাল হয়। হাজরাকাটি মাঝপাড়া বটতলা জামে মসজিদের সম্পাদক আক্তারুজাামান বলেন, কত নেতা আসে যায়- কিন্তু আমাদের এ সমস্যার সমাধান হয়না। ভোটের আগে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কত কথা বলে, কিন্তু পরে কেউ কোনো খোঁজখবর নেয় না। আমরা এ জলাবদ্ধতার লাঘবের জন্য বিভিন্ন মহলে অনেক চেষ্ট করেছি। জনপ্রতিনিধি আর নেতাদের প্রতিশ্রæতিই শুনে যায়, কাজের কাজ কিছুই হয় না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও কালভার্ট প্রয়োজন ছিল। আমি সেখানে ৬০ হাজার টাকা বারাদ্দ দিয়ে যথাযথভাবে কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছি, কিন্তু স্থানীয় অধিবাসিরা ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না দেয়ায় সেটা করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যাতে দ্রæত সমাধান করা যায়-এলাকাবাসির সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধান করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।