মোঃইমরান হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: অনেক মানুষ আছে যারা পুলিশের দোষ খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু এখনো সমাজের অধিকাংশ মানবিক কাজগুলি পুলিশরাই করেন। তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে চুমকি নামে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) গর্ভবতী একজন নারী শ্রীমঙ্গল শহরের পুরান বাজার রাস্তার উপর পড়েছিল।
গর্ভবতী নারীটি বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় পড়ে ছটফট করছিল ব্যথায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির। সেখান থেকে গর্ভবতী নারীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নিজ দায়িত্বে ভর্তি করেন এবং গর্ভবতী নারীর দেখ-বাল করার জন্য আরেকজন নারীর ব্যবস্থাও করেন তিনি।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নতুন কাপড় ও যাবতীয় ঔষধের ব্যবস্থা করে দেন মানসিক ভারসাম্যহীন গর্ভবতী নারী চুমকির জন্য। মানবতা আজও বেঁচে আছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ তা আবারো প্রমাণ করলেন। এর আগে করোনা কালীন সময়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছানো সহ বহু মানবিক কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় চুমকির গোল জুড়ে এখন ফুটফুটে এক ছেলে নবজাতক। পুলিশের এই মানবিক কাজের মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) সুস্থ সুন্দর এক ছেলে সন্তানের মা। যদিও যদিও সে পাগল তবুও সন্তানের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা চুমকি। চুমকি সন্তানকে নিয়ে এখন সুস্থ আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
শ্রীমঙ্গলবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির সহ সকলের প্রতি।
আজ এই পুলিশ ভাইদের সহযোগিতা ও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় মা ও নবজাতক শিশু ফিরে পেলেন এক নতুন পৃথিবী।
মানবিক এ কাজে ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরকে সহযোগিতা করেছে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ও এএসআই ইলিয়াস উদ্দিন সোহেল, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার আজাদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বগত চিকিৎসকগণ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।