বাসের পর বন্ধ হয়ে গেছে খুলনাগামী লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল। রেলপথেও চলছে তল্লাশী। এমন পরিবেশে আজ শনিবার নগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।

এতো সব বাঁধা পেরিয়ে খুলনার সমাবেশে ‘জনস্রোত’ হবে বলে আশা করছেন বিএনপি নেতারা। শুক্রবার রাত থেকেই দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছে। পূর্ন হয়ে গেছে সমাবেশ স্থল।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আয়োজন করা হয়েছে এই গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

গণসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই খুলনায় পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন শত শত নেতাকর্মী। মঞ্চ তৈরির কাজ (সকাল ৬টা) চলছে। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। ৮টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সমাবেশের সময় থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। এছাড়া সমাবেশের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক। সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হবে দুপুর ২ টায় চলবে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।