শেখ মোস্তফা কামাল,কেশবপুর(যশোর): যশোরের কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি ও বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজনের চলাচলের শত বছরের রাস্তা দিপু দাস কর্তৃক জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও শত বছরের রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা ও সদর ইউনিয়নের খতিয়াখালি গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বসবাস করেন। কেশবপুর টু পাজিয়া সড়কের খতিয়াখালী ঋষি পাড়া সার্বজনীন কালী মন্দিরের সামনে দিয়ে প্রায় ২৫০ মিটার শত বছরের গ্রাম্য রাস্তাটি বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঋষি পাড়ার সাথে মিশেছে। ওই রাস্তা দিয়ে উভয় গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা বংশ পরম্পরায় যুগ যুগ ধরে চলাচল করে আসছে এবং তাদের তৈরিকৃত ঝুড়ি, ডালা ও চাঙ্গারী ভ্যানযোগে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যবহার্য দ্রব্যাদির প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। গ্রাম্য রাস্তা হলেও প্রায় দু’শত পরিবারের ব্যবহারিত একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ হলো এই রাস্তাটি। এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে তৎকালীন সময়ে কেশবপুর পৌরসভা এবং সদর ইউনিয়নের যৌথ বাজেটে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা রাস্তাটি ইটের সোলিং করে দেয়। ইতিমধ্যে খতিয়াখালি গ্রামের মৃত নিরঞ্জন দাসের ছেলে দিপু দাস জমি ক্রয় করে পূর্ব পুরুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকার বিভিন্ন পরিবারের লোকজন রাস্তা দিয়ে মালামাল নিয়ে যাওয়া আসা, ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা এবং তাদের বেঁচে থাকার দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চলাচলে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। রাস্তার বিষয়ে দিপু দাসের বলতে গেলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালেও কোন প্রতিকার পাননি তারা।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই গ্রামের শ্রমিক সোহাগ দাস, ভ্যানচালক অনিল দাস, পরিতোষ দাস, বিকাশ দাস, স্বদেশ দাস, বাবু দাস, নারায়ণ দাস প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন পূর্ব পুরষের রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে দিপু দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এলাকাবাসীর রাস্তা বন্ধ করে দেয়নি। এলাকাবাসী আমার ক্রয়কৃত জমির ওপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। তারা আমার উপরে অহেতুক মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।