কেশবপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৪ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালনের সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ওইদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ আরিফুজ্জামান, কেশবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেশবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ৪নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আমজাদ হোসেন, ৫নং মঙ্গলকোর্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাদের বিশ্বাস, ৭নং পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জসীম উদ্দিন, ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মঞ্জুর রহমান, ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু, ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুজ্জামান প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) তার বজ্র নিনাদ কন্ঠে এক কালোত্তীর্ণ ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি মুক্তিকামী বাঙালির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে।
জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।