জেলা প্রাণী সম্পদ দফতর জানায়, যশোরের ৮ উপজেলায় মোট ২১টি পশুহাট রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে এই পশুহাটগুলোতে মোট ২৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করবে।

ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য ৯৫ হাজার ৭১০টি পশু প্রস্তুত রয়েছে যশোরে। এবার কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে সাড়ে চার হাজার বেশি। চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি থাকায় বাজারগুলোতে পশুর দাম কিছুটা কম।এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ছোট ছোট খামারিরা।

যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোরে মোট পশু উৎপাদন হয়েছে ৯৫ হাজার ৭১০টি। জেলার মোট ৯ হাজার ৩২০ ছোট ও মাঝারি খামারি পশু পালন করছেন। এবার কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজার ১৮৮টি পশুর।

যশোরে উৎপাদিত পশুর মধ্যে রয়েছে ২৫ হাজার ৬৮০টি ষাঁড়, দুই হাজার ৯৩টি বলদ, এক হাজার ৩৯৭টি গাভী, ৬৫ হাজার ৯৮৩টি ছাগল ও ৫৫৭টি ভেড়া। পাশাপাশি কোরবানির জন্য চাহিদাকৃত ৯১ হাজার ১৮৮টি পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড় ২৪ হাজার ৪৮০টি, বলদ দুই হাজার ৭৮টি, গাভী এক হাজার ৩৯৭টি, ছাগল ৬২ হাজার ৬৭৬টি ও ভেড়া ৫৫৭টি।

জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় তিন হাজার ৫৮৭টি ষাঁড়, ৫২৯টি বলদ, ৩১৭টি গাভী, ১৫ হাজার ৯৪৮টি ছাগল ও ৭২টি ভেড়া উৎপাদন হয়েছে। ঝিকরগাছায় ৩ হাজার ১১৭টি ষাঁড়, ৩৬২টি বলদ, ২২৭টি গাভী, আট হাজার ৫৭৩টি ছাগল ও ৭৩টি ভেড়া, শার্শায় দুই হাজার ৩৫৩টি ষাঁড়, ১৬৬টি বলদ, ১০৯টি গাভী,

৭ হাজার ২০টি ছাগল ও ৭০টি ভেড়া, মণিরামপুরে চার হাজার ৬১০টি ষাঁড়, ১৮০টি বলদ, ১০ হাজার ৮৭০টি ছাগল ও ১০টি ভেড়া, কেশবপুরে তিন হাজার ৮৭২টি ষাঁড়, ২৬৫টি বলদ, ১১টি গাভী, ৬ হাজার ৯৬১ টি ছাগল ও ৮১টি ভেড়া, অভয়নগরে দুই হাজার ৬৯৫টি ষাঁড়, ১৪৫টি বলদ, ১৩০টি গাভী, চার হাজার ৫০৫টি ছাগল ও ১৫টি ভেড়া, বাঘারপাড়ায় দুই হাজার ৬৫৫টি ষাঁড়,

১৪৫টি বলদ, ২৩০টি গাভী, চার হাজার ৯৭৫টি ছাগল ও ২০৫টি ভেড়া ও চৌগাছায় ২ হাজার ৭৯১টি ষাঁড়, ৩০১টি বলদ, ৩৭৩টি গাভী, ৭ হাজার ১৩১টি ছাগল ও ৩১টি ভেড়া পালন করেছেন খামারিরা।

খামারিরা জানান, গত দুই বছর করোনার মধ্যে কোরবানি ঈদ হওয়ায় লকডাউনসহ অর্থনৈতিক কারণে কোরবানি কম হয়েছে। পশু বিক্রি কম হওয়ায় খামারিদের লোকসান গুণতে হয়েছে। এ বছর করোনামুক্ত ঈদ হওয়ায় তারা আশায় বুক বেঁধেছেন।

জেলার অভয়নগর উপজেলার মশিহাটি গ্রামে রয়েছে পরশ অ্যাগ্রো লিমিটেডের রয়েছে ২০২টি গরু। কোরবানির পশুহাটে গরুগুলো বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা বাণিজ্যিকভাবে গরু লালন-পালন করি। আমাদের খামারের সব গরু দেশি প্রজাতির।