কলম কথা ডেস্ক:
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় খেদাপাড়া ইউনিয়নে খড়িঞ্চী গ্রামে উত্তরা ফিড মিল চালু হয় তারপর বিশেষ কোন সমস্যার কারনে নাহার এগ্রো নামে ফিড মিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু এখানে তারা জমি ক্রয় করে তারা নতুন করে হ্যাচারী তৈরি করার কাজ শুরু করছে।তাই এখানে খেদাপাড়া ও খড়িঞ্চী গ্রামের মানুষ মরণফাঁদে পরিনত হতে যাচ্ছে কারন অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে যখন বন্যা দেখা দেয় তখন বন্যার জল বের হওয়ার একটাই পথ এই জায়গাটি।আর এখানে যখন হ্যাচারী কাজ শুরু হয় তখন ওই জমিতে তারা বালি উত্তোলন শুরু করলে এলাকাবাসী বাধা দেয়।
তখন ওই কোম্পানীর কোর্ডিনেটর এ.বিকে শামস সেতু বলেন, আপনাদের বন্যার জল যে পাশ দিয়ে বের হয় ওই পাশ দিয়ে জল বের করার ব্যাবস্থা করব কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তারা চারদিক দিয়ে টিন দিয়ে ঘিরে দিয়ে রেখেছে বলে এই টিন দিয়ে ঘেরা জাগয়াগুলো সব ইটের তৈরি প্রাচীর নির্মান করা হবে।
এই বিষয়ে এলাকাবাসী গোকুল চন্দ্র মন্ডলের সাথে কথা বললে জানা যায়,নাহার এগ্রো যেভাবে বালি ভরাট করছে তাহাতে আমাদের গ্রাম বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবে। আর আমি ইতিমধ্যে খেদাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল আলীম জিন্নাহের কাছে অভিযোগ করছি।আর এই এলাকার মানুষ চাই না এখানে হ্যাচারী হোক।তাই এলাকার মানুষ এখন খুব দুঃচিন্তার মধ্যে কারন এখানে ইটের তৈরি প্রাচীর নির্মান করা হবে আর দুটো কালভার্টের মধ্যে জল গেলে দুই গ্রামের সাধারণ মানুষ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে সেই সাথে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী।
সাথে সাথে এখানে হ্যাচারী হলে ৫০ হাত দূরে প্রাইমারী স্কুল যদি এখানে হ্যাচারী করা হয় তাহলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা হতে পারে।এই বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি ইতিমধ্যে নাহার এগ্রোকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি।আর এই বিষয়টা আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।