নড়াইল প্রতিনিধি: জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে অবসরে যাওয়া সচিব নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামের বাসিন্দা খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে জমি অধিগ্রহণের ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রশাসনিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ধানী শ্রেণীর জমিকে বাস্ত শ্রেণীতে রুপান্তর করে প্রকৃত মূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা উত্তোলন করায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ রাজনীতি এবং পরবর্তীতে সরকারের প্রভাবশালী আমলা হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ ভয়ে কেউ তাঁর এ অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননি।সচিব খাজা মিয়া জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে আসার আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব ছিলেন।
অভিযোগে জানা যায়, সাবেক সচিব খাজা মিয়া নড়াইল সদর উপজেলার ৭৫ নং দুর্গাপুর-ডুমুরতলা মৌজার এস,এ ৭১৩ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক মৃত শমশের বেগের দুই কন্যা আয়েশা ও আবেদার নিকট থেকে দুই দাগে ৩৭ শতক জমি ক্রয় করেন।ওয়ারেশ সূত্রে ওই দুই কন্যা প্রকৃতভাবে জমির মালিক ৩৪শতক।জমি দাতাদের প্রকৃত মালিকানা ৩৪শতক হলেও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ৩শতক জমি বেশি লিখে নেন তিনি। পরবর্তীতে জমি রেললাইন নির্মাণ কাজে সরকার অধিগ্রহণ করলে আর্থিক লাভবান হতে ২২.২৩ শতক জমির স্থলে ৩৪ শতক জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৩ কোটি ২৭লাখ টাকা গ্রহণ করেন।এছাড়া আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ধানী শ্রেণীর জমির পরিবর্তে বাস্ত দেখাইয়া কয়েকগুণ বেশি টাকা গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে খাজা মিয়ার সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।