স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যাল (বুটেক্স) শাখা ছাত্রলীগ কমিটি ৫ম বছরে পদার্পণ করতে চললো।বহু বছর ধরে একই কমিটি দিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি চলায় নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে। এতে তৈরি হচ্ছে গ্রুপিং, বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নেতাকর্মীদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব গঠন করে সংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার দাবি জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নাজমুল আলম সাকিব ও মইনুল ইসলাম লিংকনকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে বুটেক্স ছাত্রলীগের এক বছরের জন্য আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে কমিটি ঘোষণার ২ বছর চার মাস পর ১৮১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

তবে সেই কমিটির প্রায় শতাধিক নেতাই বর্তমানে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। এদের মধ্যে অর্ধশতাধিক নেতা ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। আর অর্ধশতাধিক নেতার ছাত্রত্ব নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ফলে এই কমিটির বর্তমান বয়স ৪ বছর ৮ মাস। কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রের কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগ।

অপর দিকে দীর্ঘ দিন কমিটি না হওয়ায় হতাশ পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। অনেকেই পদের আশায় দৌড়াদৌড়ি করছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। অনেকে আবার পদের আশায় থেকে চাকরির বয়স শেষ করেছেন। অন্য দিকে পদ পদবী ব্যবহার করে অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে বর্তমান কমিটির সদস্যরা জানা যায়, কিছুদিন আগে বর্তমান বুটেক্স ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম সাকিব গুরুতর অভিযোগে তেঁজগাও শিল্পাঞ্চল থানায় আটক ছিল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শাখা ছাত্রলীগের ৮০ জন নেতা ক্যাম্পাস ছেড়েছেন।

ছাত্রত্ব নেই ৫৫ জনের। এদের মধ্যে সহ-সভাপতি ৩৭ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ৫ জন ও ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদক। সম্পাদক ৫ জন। এছাড়াও কমিটিতে বিবাহিত রয়েছেন মোট ৮ জন। হল ছাত্রলীগ কমিটি নিষ্ক্রিয়। প্রায় সবাই বিবাহিত এবং চাকরিজীবী। এছাড়াও বর্তমান কমিটি গঠনের পর থেকেই ঝিমিয়ে পড়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী ছাড়া তাদের কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রের কর্মসূচী বাস্তবায়নে দেখা যায় অনীহা।

যে কয়েকটি কর্মসূচী পালন করা হয় তাতেও উপস্থিতি খুবই নগণ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুটেক্স ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, এক বছরের কমিটি পাঁচ বছর ধরে কোনোভাবেই থাকতে পারে না, এটা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী।

কারণ এতে করে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটছে। গত পাঁচ বছরে এ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য চাকরি ও বিয়ে করেছে। সে কারণে কমিটিতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ লেখক ভট্টাচার্য’কে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

 

 

কলমকথা/বিসুলতানা