জামালপুরো মেলান্দহে শিমলা আক্তার সাথী(১৯) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।
নিহতের মা জানান- সকাল সাতটার দিকে আমার বিবাহিত মেয়ে শিমলাকে আমার ঘরে তার নিজ ওড়নাদিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে চিৎকার করলে আমার স্বামী ও ভারাটিয়া চন্দন লাশ নামিয়ে পুলিশকে খবর দেই।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায় – নিহত শিমলা স্বামী বাবু কয়েক দিন যাবত যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল দাবী করে আসছিল। তারা আরও জানান নিহত শিমলা আজ সকালে বাড়ী থেকে চলে যায় পরে খবর পেয়ে বাবা শফিকুল মির্জা আজম চত্বর থেকে ধরে নিয়ে আসে।পরে এই আত্ম হত্যা করে বলে ধারনা করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানীপাকুরিয়া ইউনিয়নের ভাবকি ব্যাপারী পাড়া গ্রামে।

মেলান্দহ থানার ওসি তদন্ত বেলায়েত হোসেন জানান- সকালে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে এসআই জাহিদের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে জামালপুর মর্গে পাঠায়। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিহত শিমলা ভাবকি ব্যাপারিপাড়া শফিকুলের মেয়ে এবং ঝাউগড়া ইউনিয়নের টগারচর উত্তরপাড়া বাদলে ছেলে রাজমিস্ত্রী আব্দুল্লাহ বাবু(২৩) এর স্ত্রী। শিমলার স্বামী বাবু অভিযোগ করে বলেন যে- আমার স্ত্রী আত্ম হত্যা করতে পারেনা। রাতেও আমার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে।আমাকে সকালে আসতে বলছে। শিমলার চাচা রবিউল বলেন – আমরা গ্রামবাসী ও স্থানীয় ভাবে বসে বিসয়টি নিস্পত্তি করবো ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক বলেন – মেয়েটি খুব ভাল, স্বামীর ও বাবা, মা , সাথে কলহ নেই। তবে কি মেয়েটি এমনি আত্ম হত্যা পথ বেছে নিল? নাকি স্বামী বাবু’র পরকিয়া সহ্য করতে না পেরে এমন পথ বেছেনিতে বাধ্য হলো এমনটাই এখন সবার প্রশ্ন। আরও জানা যায় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তরিগড়ি করে কয়েক ঘন্টা পর ঐদিনই বিকেলে লাশ দাফন করা হয়।
এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন এটা আত্ম হত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা।