লাইব্রেরি: আলোর পথে ডেকে চলা নীরব পথপ্রদর্শক

ইসলামী সভ্যতার এক প্রোজ্বল দৃষ্টান্ত লাইব্রেরি ব্যবস্থা। এটা কেবল সভ্যতার‌ই অংশ নয়, শিল্পও বটে। এর মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষিত হয়। জানা যায় বিভিন্ন জাতির দান-অবদান। এজন্য ইসলামের সূচনা-কাল থেকেই মুসলমানরা লাইব্রেরি ব্যবস্থার প্রতি ছিল বড় যত্নবান। আমির-সুলতান থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ‌ও লাইব্রেরির প্রতি খুব আগ্রহী ছিল।

শিক্ষা একটা পরিবারকে, সমাজকে, দেশকে, জাতীকে এমনকি পুরো পৃথিবীকেই বদলে দেয়। বদলে দেয় মানুষের চিন্তার ধরণ। একটি জাতীর মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রথম হাতিয়ার হল- সুশিক্ষা। মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে, বিবেককে প্রস্ফুটিত করতে, মনোবৃত্তিকে উদ্বেলিত করতে বহুমুখী শিক্ষার বিকল্প নাই।

বহুমুখী শিক্ষার একমাত্র উন্মোক্ত মাধ্যম হচ্ছে লাইব্রেরী বা পাঠাগার। পাঠাগারকে একটি মহাবিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করা যায়। সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে অতীত ও বর্তমানের সাথে সেতুবন্ধন স্থাপন করে পাঠাগার। এখানে হাত দিলেই হাতের স্পর্শে জ্ঞানের রাজ্যে সাঁতার কাটানো যায়। কালো কালো অক্ষরে বাঁধা হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-সম্ভার, গুণীদের বাণী হাতের নাগালে পেতে একটি লাইব্রেরী/পাঠাগার দরকার। পাঠাগারে সমৃদ্ধ হোক আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি।

আজকাল তথ্য প্রযুক্তির যুগে, ইন্টারনেটের বাহুল্যতায় আমাদের তরুণ প্রজন্ম সঠিক জ্ঞানচর্চা থেকে দিন দিন বিমুখ হচ্ছে। ফেইসবুক, ইন্টারনেটের মতো সোস্যাল মিডিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রজন্ম। দিন দিন প্রজন্মে ঘূণে ধরছে, লোপ পাচ্ছে মনুষ্যত্ব।আমরা জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ি, মনের খোরাক মেটানোর জন্য বই পড়ি। এজন্য চাই হরেক রকম বইয়ের সমাহার। চাই পছন্দের বই। কিন্তু চাহিদা থাকলেও অনেক সময় সাধ্যের মধ্যে থাকে না পছন্দের বই ক্রয় করার সামর্থ।

সমাজকে তার স্ট্যাটাস অনুযায়ী গঠন, পরিচালনা ও নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে একটি পাবলিক লাইব্রেরি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
শেরপুর নকলা উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি বা পাঠাগার নাই।

জরুরি ভিত্তিতে একটি পাঠাগার প্রযোজন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নকলা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।