শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩ বাংলাদেশীকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ১১ মার্চ শুক্রবার ভোরে উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা পানিহাতা ও হালুয়াঘাট উপজেলার বানাইচিরিঙ্গিপাড়া এলাকা দিয়ে ভারতের চেরেংপাড়া এলাকায় অনুপ্রবেশের পর এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলার মায়াঘাসী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে রুবেল, হালুয়াঘাট উপজেলার জামগড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে বোরহান ও বানাইচিরিঙ্গিপাড়া গ্রামের লতিফের ছেলে আমিনুল। এদের সবার বয়স ত্রিশের নীচে।

সীমান্তের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ নালিতাবাড়ী এবং হালুয়াঘাট এ দুই উপজেলার মাঝামাঝি পানিহাতা ফেকামারী ও বানাইচিরিঙ্গিপাড়া গ্রামের মাঝ বরাবর এলাকা দিয়ে রাতের আধারে ভারতীয় গরু চোরাই পথে আমদানী করে আসছিল চক্রটি । বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতের চক্রটি পুনরায় ভারতীয় গরু চোরাই পথে আমদানী করতে গিয়ে প্রথমে কয়েকটি গরু বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এরমধ্যে ৬টি গরু ভটভটি যোগে নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করে পাঁচারের সময় ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে দক্ষিণ সোহাগপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশ তাদের আটক করে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ হালুয়াঘাট উপজেলার জামগড়া গ্রামের খলিলুর রহমান (৪২) ও জয়নাল আবেদীন (৪০) নামে দুই পাচারকারীসহ ৬টি গরু জব্দ করে। অপরদিকে ভোর রাতে আরও একটি চালান আনতে মায়াঘাসি গ্রামের রুবেল, জামগড়া গ্রামের বোরহান ও বানাইচিরিঙ্গিপাড়া গ্রামের লতিফের ছেলে আমিনুল ভারতের চেরেংপাড়া গ্রামে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ভারতীয় উপজাতি কৃষকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের আটক করে এবং টহলরত বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করে। বর্তমানে তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে নালিতাবাড়ী থানায় আটক দুই চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ।

ভারতীয় বিএসএফএর হাতে আটক হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় গরুসহ আটক দুইজনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। সঙ্গে থাকা আরও ৪-৫ জন পালিয়ে গেছে।