মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর: শেরপুরের ভারত সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার সবুজ-শ্যামলিমা আর ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতির দান মধুটিলা ইকোপার্ককে জেলার সেরা এবং দর্শনীয় স্থান হিসেবে তৈরি করতে উদোগ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ।

ইতিমধ্যেই প্রকৃতিবান্ধব সমীক্ষা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেরপুরের ভারত সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার সবুজ-শ্যামলিমা আর ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতির দান মধুটিলা ইকোপার্ককে জেলার সেরা এবং দর্শনীয় স্থান হিসেবে তৈরি করতে উদোগ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ।

ইতিমধ্যেই প্রকৃতিবান্ধব সমীক্ষা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মধুটিলা ইকোপার্কে সামাজিক বনায়নের ১৪৫ জন উপকারভোগীর মাঝে ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৮ টাকার চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ উদ্যোগের কথা জানান প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ইকোপার্ক বা জাতীয় উদ্যান তৈরির জন্য আদর্শ জায়গা মধুটিলা ইকোপার্ক। প্রাকৃতিক বনা লের মতো একটি বন এখানে আছে। এখন আমাদের প্রয়োজন ট্যুরিস্টদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেওয়া। সে জন্য ইতিমধ্যেই আমাদের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষককে বলেছি, এখানে একটি সমীক্ষা তৈরি করার জন্য।

এখানে যে স্থাপনা তৈরি করব তা যেন প্রকৃতি বান্ধব হয়। শহরে যে স্থাপনা তৈরি করি সেটি যেন মধুটিলায় না হয়। স্থাপনা হতে হবে প্রকৃতির সাথে মিল রেখে। এ জন্য আলাদা আর্কিটেকচারাল ডিজাইন লাগবে, ল্যান্ডস্ক্যাপ ডিজাইন লাগবে। যদি তারাতারি এসব সম্পন্ন করে প্রস্তাবটি দেওয়া যায় আমি আশাকরি মধুটিলা ইকোপার্ক শেরপুর জেলার মধ্যে সেরা এবং দর্শনীয় একটি স্থান হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমীন এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা কেন্দ্রীয় অ লের বন সংরক্ষক হোসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ ও নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু।

অন্যান্যের মধ্যে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ী’র সভাপতি আব্দুল মান্নান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসমলাম মনির ও সামাজিক বনায়নের অংশীদারদের সভাপতি আয়নালহকসহ অন্যান্য উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে তৎকালীণ কৃষিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ৩৮০ একর পাহাড়ি বনভূমি নিয়ে মধুটিলা ইকোপোর্কের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে রেস্ট হাউজ, মিনি চিরিয়াখানা, ওয়াচ টাওয়ার, কৃত্রিম লেক ও শিশুপার্কসহ বেশকিছু স্থাপনা তৈরি হয়।

পরবর্তী সময়ে নতুন কোন উদ্যোগ, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবসহ নানা কারণে ইকোপার্কটি বৈচিত্র হারিয়ে ফেলে।

বর্তমানে আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক বন তৈরিসহ নানা কারণে প্রাকৃতিক বৈচিত্র ফিরে এলেও ইকোপার্কটিতে নতুনত্ব আনা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় ইকোপার্কটিতে নতুনত্ব আনতে দাবী তোলেন দর্শনার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।