কামাল উদ্দিন টগর,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলা থানায় অভিযোগ দিয়েই ভুক্তভোগী পরিবারের দিন কাটছে আতঙ্কে। অভিযোগ দেওয়ার কারনে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের সেবা না পেয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন মো. শাহীন হোসেন।

অভিযোগের বিবাদি জাকিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের কাছে । কাঙ্খিত পুলিশের সেবা না পেয়ে নিরুপায় এই ভুক্তভোগী পরিবার।  ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী সুত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ২৫ আগষ্ট পত্নীতলা থানায় ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেছেন মেয়েটির বাবা।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, মো. আমিনুল এহসান বাবু(৪২), পিতা- মৃত আব্দুর রহমান, মো. জাকিরুল ইসলাম(৩৫), পিতা- মো. আবু তাহের মন্ডল, উভয় পত্নীতলার হাসেনবেগপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে বাড়ী এবং অভিযোগ কারির বাড়ী একই গ্রামে পাশাপাশি অবস্থিত।গত প্রায় ০২ বছর পূর্বে অভিযোগ কারির স্ত্রী মোছা রাশিদা পারভীন সুলতানা(৩৪) মো. আমিনুল এহসান বাবুর সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

বিষয়টি অভিযোগকারি বিভিন্ন ভাবে মোঃ আমিনুল এহসান বাবু নিষেধ করেন। মো. আমিনুল এহসান বাবু অভিযোগ কারির কথায় কোন কর্নপাত না করে বিভিন্ন ভাবল হুমকী দিয়া বলে যে, বেশি কথা বলিলে আমি তোর স্ত্রীর সাথে তোর মেয়েকেও ধর্ষন করবো। পারলে কিছু করে দেখাস বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রান নাশের হুমকী প্রদান করে। এই অভিযোগের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশের পর বুধবার ৩১আগষ্ট রাত সাড়ে আটটায় বদীর বাসায় অতর্কিতভাবে হামলা ও ভাংচুর করে মো. জাকিরুল ইসলাম(৩৫) ও তার পরিবার। হামলা ও ভাংচুর দেখে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশের ইমারজেন্সি নাম্বার ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করে চলে আসেন।

এর কিছু সময় পর গত ২৫ আগষ্ট অভিযোগের বিষয়ে এস আই মঞ্জু সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য রাত সাড়ে নয়টার দিকে গিয়ে তদন্ত করতে আসেন। এই নিয়ে গ্রামবাসীর মনে দেখা দিয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সংশয়।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, একটা অভিযোগের পর থেকে পরিবারটি আতঙ্কে রয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিরব। একটা অভিযোগ হওয়ার প্রায় ৬ দিন পর রাতে এসে তদন্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা কি তদন্ত করলেন আশেপাশের বাড়ির কোন মানুষের সাথে কথা যদি না বলে প্রকৃত ঘটনা কি করে জানবে।

আমরা গ্রামবাসী চাই অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।  অভিযোগ কারী শাহীন হোসেন বলেন, আমি অভিযোগ করার পর থেকে আমার প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে মো. আমিনুল এহসান বাবু, মো. জাকিরুল ইসলাম।

এরই ধারাবাহিকতায় রাতে দেশি অস্ত্র সজ্জিত হয়ে, রাতে আমার বাসায় মো. জাকিরুল ইসলাম ও তার পরিবার অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করে। আমি থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েও ঘুরে আসি কারণ আমি প্রকৃত বিচার পাচ্ছি না এর আগেও থানায় অভিযোগ করেছি তার কোনো সুরাহা হয় নাই উল্টো আমাকেই হুমকি ধমকি দিচ্ছে পুলিশের লোকজন। আমি মনে হয় থানায় কোন বিচার পাব না কারণ আমার টাকা নাই
আমি গরিব মানুষ কৃষি কাজ করে দিন আনি দিন খাই।

আমি সরকার প্রধানের কাছে আবেদন জানায় আমার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে  দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সরজমিনে সংবাদ কর্মীর সাথে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শামসুল আলম শাহ্ কথা হলে তিনি বলেন, এই ঘঠনা এক বছর ধরে দেখছি। শাহীন হোসেন, আমিনুল এহসান বাবুর জমি বর্গা
চাষ করতো।

জমি বর্গা চাষ করার টাকা ফেরত দিবে না বলে সে কাহিনী করছে, তাকে টাকা ফেরত দিতে বলেন, তারপর কথা হবে এর আগে এই বিষয়ে কোন কথা হবে না। আর আমি এই বিষয়ে আর কোন কথা বলতে চাই না। আর যদি কোন কথা লেখতে চান আমি এর আগেও আপনাকে বক্তব্য দিয়েছি সেই বক্তব্য নিউজে দিয়ে দিন।