![](https://dailykolomkotha.com/wp-content/uploads/2023/12/image-21466-1701536092.jpg)
ভুগভোগী তাবাসসুম আক্তার রিংকু (বামে), আলাউদ্দীন আলী (মাঝে) ও তার ছেলে নাঈম হোসেন (ডানে)। ছবি: কলম কথা
ভুগভোগী তাবাসসুম আক্তার রিংকু (বামে), আলাউদ্দীন আলী (মাঝে) ও তার ছেলে নাঈম হোসেন (ডানে)। ছবি: কলম কথা
নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাবাসসুম আক্তার রিংকু (২২) নামের এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের মা শাহিনা বেগম বাদি হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চারদিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার মাটিয়াকুরি গ্রামের আলাউদ্দীন আলী ও তার ছেলে নাঈম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান। এর আগে, গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত তাবাসুম আক্তার রিংকু জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। তিনি স্থানীয় রায়কালী টেকনিক্যাল বিএম কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, নিহত রিংকু ও নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক পরিবারে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে তারা কোর্ট ম্যারেজ করবে মর্মে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটোরিকশায় করে রাজশাহী কোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুজনের মধ্যে নওগাঁ কোর্টে অথবা রাজশাহীতে কোর্ট ম্যারেজ করা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সদর উপজেলার চকগৌড়ি মেইন রাস্তায় অটোরিকশা থেকে রিংকু পড়ে যায়। মাথা ও হাত-পায়ে গুরুতর জখম হলে তাকে বাঁচানোর জন্য তার প্রেমিক নাঈম দ্রুত মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নাঈম ভয় পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দীনের সাথে আলোচনা করলে তার বাবা রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর নাঈম দ্রুত একটি এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভয় পেয়ে নাঈম ও তার বাবা রিংকুর মরদেহ রাতের আঁধারে তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।