বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গৌরবময় ইতিহাসসহ স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসে সমৃদ্ধ ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লে¬ক্স।’ স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন রাজশাহী-(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। স্বাধীনতার বিভিন্ন তথ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।
স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে অনেকেই জানেন না স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস। স্বাধীনতার শতশত ইতিহাস ধারণ করছে এই জাদুঘর। সেই সাথে দেশের প্রথম আওয়ামী লীগের ডিজিটাল কার্যালয় হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ছয় তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লে¬ক্স’। এর আগে এ ধরণের কোন কার্যালয় দেশে স্থাপিত হয়নি বলে জানা গেছে।
উপজেলার চানপাড়ায় এ কমপ্লে¬ক্সের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে তরুণ ও নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যের উদ্যোগে এ ভবনটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভবানীগঞ্জ তাহেরপুর সড়কের পাশে চানপাড়ায় ১৩ শতক জমি কিনে ছয় তলা বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় করেন এমপি এনামুল হক। সেখানে ভবন নির্মাণের আগে ওই জমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। তার পরেই শুরু হয় নির্মাণ কাজ। সাংসদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে ব্যয়বহুল ও অত্যাধুনিক এই কমপ্লেক্স।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে আওয়ামীলীগের ডিজিটাল এই কার্যালয়টির নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স। এ জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। বহুতল এই ভবনে রয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কার্যালয়। একই সাথে রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পৃথক পৃথক দপ্তর। শুধু তাই-ই নয়, কমপ্লে¬ক্সটির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে সালেহা-ইমারত মিলানায়তন। তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গৌরবময় ইতিহাসসহ বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর। সেখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিময় ভাস্কার্য এবং দূর্লভ সব ছবি। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং উভয়ের মধ্যে সেতু বন্ধন সৃষ্টি করতে কমপ্লেক্সটি বাগমারার ভবানীগঞ্জে নির্মিত হয়েছে।
২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করেন। বর্তমানে এই কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু যাদুঘর পরিদর্শন করে চলেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হক বলেন, আমি আজীবন জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। প্রত্যন্ত এলাকার আপামর জনসাধারণ স্বাধীনতার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী প্রজন্ম যেন বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে সে লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।