রাজশাহী উপকণ্ঠের কাটাখালী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াসিন আলী সুকটা ও তার তিন ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনী একটি নিরিহ অসহায় পরিবারের বাড়ি ভাংচুর এবং তিনজনকে মেরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, মাসকাটাদিঘির মৃত সাদেকের ছেলে চঞ্চল (২০) ও উজ্জ্বল এবং চঞ্চলের স্ত্রী রুনা (১৮)। ঘটনার বরাতে জানা যায়,

গত ১১ জানুয়ারী কাউন্সিলর ইয়াসিন আলীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে দিন মজুরি কাজ করেন চঞ্চল ও উজ্জ্বল। দিন মজুরীর টাকা চাইতে গেলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির শেষে সবাই চলে গেলে ঐ দিন দুপুর ২ টার সময় কাউন্সিলরের ছেলেরা চঞ্চল ও উজ্জ্বলের বাড়ি ভাংচুর করেন।

ভাংচুরের পরে বিভিন্ন মহল থেকে মীমাংসার আশ্বাসে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। ভুক্তভোগীর ভাংচুর করা বাড়ি পরে ঠিক করে দেওয়া কথা থাকলেও তা ঠিক করে দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবার গত ১৮ ফেব্রুয়ারী উক্ত ঘটনায় কথা বলতে কাউন্সিলর ইয়াসিন আলীর কাছে গেলে তার তিন ছেলেসহ কয়েকজন চঞ্চল ও উজ্জ্বল এবং চঞ্চলের স্ত্রী রুনাকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরে গুরুতর আহন হয় চঞ্চল ও রুনা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় চঞ্চলের মাথাসহ শরীলে ১৭ টি সেলাই পড়ে। তার স্ত্রীর মাথায় পড়ে ৪ টি সেলাই। উজ্জলের পায়েও পেয়েছেন চোট। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ি ভাংচুর করেন কাউন্সিলের ছেলেরা। সেই ঘটনায় বাড়ি ঠিক করে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা ঠিক না করে দিয়ে উল্টো গতকাল আমাদেরকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে আঘাত করে আহত করেন।

তারা এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে ক্রাইমের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তারা এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন। চিকিৎসা শেষে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান। এ বিষয়ে জানতে কাটাখালী থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউন্সিলর ইয়াসিন আলী বলেন,

চঞ্চল ও উজ্জ্বল আমার চাচাতো ভাই। ওদের বাড়ি আমি ঠিক করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে। আমি তাদের চিকিৎসা খরচও দিতে চেয়েছি। তাদের দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছিলাম। বিষয়টি স্থানীয়দের নিয়ে বসে ঠিক করে নিবো। (হামলা ভাংচুরের ভিডিও সংগৃহীত)

 

কলমকথা/ বিথী