মামুনুর রশীদ মামুন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কচাকাটা কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজ টিকা তিন ঘন্টা দেরিতে পৌঁছে। এই তিন ঘন্টা রোদে পুড়ে কলেজ মাঠে দাড়িয়ে অপেক্ষা করেন টিকা প্রতাশী ১১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজারের বেশী শিক্ষার্থী। কেন্দ্রটিতে রবিবার সকাল ৯ টায় টিকা পৌছার কথা থাকলেও তা পৌছে দুপুর ১২টার সময়।
টিকা প্রদান শুরু হয় সাড়ে ১২টার দিকে। টিকা প্রদান কার্যক্রম দুপুর ১টার মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ৪টার দিকে।
টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘসময় রোদেপুড়ে কলেজ মাঠে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অনেক শিক্ষার্থী দুই তিনটি নদী পার হয়ে এসেছেন টিকা নিতে। তাদেরকে সকাল সাতটার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। টিকা দেয়ার দেরিতে তাদের ফিরতে সমস্যা হবে। এছাড়া অপেক্ষায় থাকতে থাকতে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
কচাকাটা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শাখওয়াত হোসেন ও হাফিজুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে আটটা থেকে টিকা নেয়ার জন্য দাড়িয়ে আছেন তারা এখন সাড়ে বারোটা বাজে তার পরেও টিকা নিতে পারেনি তারা। মাত্র আধা ঘন্টা হলো টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
নায়কের হাট দারুল সুন্নত দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মামনি আকতার, হাফিজা খাতুন জানান, বাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার হেটে সকাল ৯টায় কেন্দ্রে এসে চার ঘন্টা থেকে দাড়িয়ে আছেন তারা। এখনো টিকা নিতে পারেনি। এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন । কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী উম্মে মাসুদা জানান, টিকা দেয়াই অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে।
কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাহিমুল ইসলাম জানান, তিন ঘন্টা দেরিতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা রোদেপুড়ে দাড়িয়ে থেকে কষ্ট করেছে। সময়মতো কার্যক্রম শুরু করা লাগত।
এ টিকা কেন্দ্রে এদিন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন কচাকাটা কলেজ, কেদার মহিলা কলেজ, কচাকাটা মডেল টেকনিক্যাল মহিলা স্কুল এন্ড কলেজ, কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কচাকাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সুবলপাড় উচ্চবিদ্যালয়, ইন্দ্রগড় দাখিল মাদ্রাসা, গোলের হাট ফাজিল মাদ্রাসা, নায়কেরহাট দাখিল মাদ্রাসা,টেপারকুটি দাখিল মাদ্রাসার ৪ হাজার ১০৬জন শিক্ষার্থী। সোমবার আরোও ১৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করবেন।
এই টিকা কেন্দ্রের দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সোলায়মান আলী জানান, ৬ জন নার্স, কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইটার ৩জন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২জন, উপস্বাস্থ্য পরিদর্শক ২জনসহ মোট ১৯জন কর্মী শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করেন। বিকাল ৪টার দিকে টিকা দেয়া শেষ হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রাম থেকে টিকা পেতে দেরি হয়েছে। আর রাস্তা খারাপ থাকায় কেন্দ্রে টিকা পৌছতে দেরি হয়েছে। তবে সকল শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।