হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাকে পুনরুদ্ধার করতে ও মাদকের থাবা থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখতে দিনাজপুরের বিরামপুরে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর মৎস্যচাষী সমবায় সমিতির সুস্থ বিনোদনে উদ্বুদ্ধ করতে প্রথম বারের মত গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার টাটাকপুর মাঠের মাঝখানে প্রাণপণে ছুটছে ঘোড়া। উপস্থিত দর্শকরা হর্ষধ্বনি ও হাত তালি দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন। আয়োজিত ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় ঘোড়াঘাট, চিরিরবন্দর, বদরগঞ্জ এবং গাইবান্ধা সাদুল্ল্যাহপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেকে প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। ঘোড়া দৌড় খেলায় ৫টি করে ঘোড়া নিয়ে ৩টি গ্রুপে মোট ১৫টি ঘোড়া অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রতি গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় পলিপ্রয়াগপুর মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি আয়ােজিত টাটকপুর মাঠে প্রথম বারের মত ঐতিহাসিক ঘােড়া দৌড় প্রতিযােগীতার উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু।
খেলাটি পরিচালনা করেন পলিপ্রয়াগপুর মৎস্যচাষী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ফিরোজ শুভ। প্রধান পৃষ্ঠপােষকতায় ছিলেন পলিপ্রয়াগপুর মৎস্যচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি ডাঃ মাহফুজুর রহমান।
প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় প্রথম স্থানে বিজয়ী হন, চিরিরবন্দর হর্স পাওয়ার, দ্বিতীয় স্থানে বিজয়ী হন, ঘোড়াঘাট হর্স পাওয়ার, তৃতীয় স্থান দখল করেন বদরগঞ্জ হর্স, উক্ত খেলায় প্রথম পুরস্কার হিসাবে ১৪ ইঞ্চি টিভি, দ্বিতীয় পুরস্কার ম্যাজিক চুলা, তৃতীয় পুরস্কার আইরন এবং সকল প্রতিযোগীকে ৫ শত টাকা করে পুরষ্কৃত করা হয়।
এদিকে এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বিরামপুর উপজেলার টাটাকপুর মাঠ প্রাঙ্গনে বসেছে মনোহরি আর গ্রামবাংলার বিভিন্ন মিষ্টান্নের দোকানের পসরা। সব মিলিয়ে সেখানে মেলায় পরিণত হয়। এমন আয়োজনে যোগ দিতে পেরে খুশি বালকবৃদ্ধবনিতারাও।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।