অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের টেকনাফে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৫ নারী ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
বুধবার রাত ১১টার টেকনাফ উপজেলার শীলখালী সমুদ্রতীরে তাদের লাশ ভেসে আসে। তারা সাগরে ডুবে যাওয়া মালয়েশিয়াগামী ট্রলারের যাত্রী বলে ধারণা পুলিশের।
মৃতদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছর বলে পুলিশের ধারণা। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ৪ দালালসহ ৪৫ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ জীবিত উদ্ধার করা হয়।
গত মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের বাহার ছড়া ইউনিয়নের হলবনিয়া সমুদ্র উপকূলে মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারে ৭০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল বলে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন।
টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। মানব পাচারে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে এসব রোহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।