কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কামালপুর এলাকায় অবস্থিত মইনুল-মোস্তফা কলেজ। কিন্তু কলেজটিতে নিয়মিত ক্লাস হয় না, অনুপস্থিত থাকেন অধ্যক্ষসহ প্রায় সব শিক্ষক। এরই প্রতিবাদে বুধবার (৬ এপ্রিল) বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা কলেজটির দরজা জানালা ও শ্রেণি কক্ষে ভাঙচুর চালায়। জানা গেছে, ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পর শিক্ষানুরাগীদের দানকৃত জমিতে ২০১৫ সালে মইনুল-মোস্তফা নামে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কিন্তু ঠিকমতো ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান শামীম বলেন, ‘বর্তমানে এই কলেজে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ভালো লেখাপড়া তো হই না বরং সব সময় কলেজ বন্ধ থাকে। অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকরা কলেজে আসেন না।’ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, বাড়ির পাশেই কলেজটি নির্মাণ হওয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েদের এখানে ভর্তি করিয়েছি ভালো লেখাপড়ার জন্য। বর্তমানে এই কলেজটিতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কলেজের জমি দাতা আমজাদ হোসেন জানান, ‘আমাদের কাছ থেকে জমি নিয়েছে কিন্তু কোন প্রকার কমিটিতে আমাদের নাম নেই। এখানে কমিটির কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।
নতুন পরিচালনা কমিটি করার জন্য বোর্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও সেটি আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে কিনা জানিনা।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মোস্তফা খান বলেন, ‘আমি ঢাকায় অবস্থান করছি, কলেজে বাকি শিক্ষকদের থাকার কথা।’ শিক্ষকরা কলেজে উপস্থিত থাকেন না কেন প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান অধ্যক্ষ। মইনুল-মোস্তফা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি মইনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে এই ঘটনা হয়েছে।’ উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ‘আমি কিছু দিন আগে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে কলেজটিতে যাতে নিয়মিত ক্লাস হয় সে বিষয়ে বলেছি।’ রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরিচালক অধ্যাপক এস এম আব্দুল মতিন বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।