মিরু হাসান বাপ্পী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ, এর সাথে বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, তথ্য অফিসের প্রচারণার পরেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে সাধারণ মানুষের অনীহা।
ঘরের বাইরে প্রাত্যহিক কাজকর্মে রাস্তায় বের হওয়াদের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। মাস্ক ছাড়াই রাস্তা, বাজার, শপিংমলসহ সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। মাস্ক পরায় কেবলই অনীহা, আছে উদাসীনতা।
রাস্তাঘাটে অনেকেরই থুতনিতে মাস্ক ঝুলতে দেখা যায়, কারো বা পকেটে। মাস্ক কোথায়, জানতে চাইলে কেউ কেউ ব্যাগ থেকে বের করে দেখিয়েও দেয়।
বগুড়ার সাতমাথায় এক মহিলা কথা বলতে বলতে তাঁর ব্যাগ থেকে মাস্ক বের করে দেখান। বলেন, ‘আসলে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই মাঝেমধ্যে ব্যাগে রেখে দিই।’
মাস্কবিহীন ঘুরে বেড়ানো মাসুম নামের এক পথচারীকে বিনা মাস্কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরতে অস্বস্তি লাগে।’ করোনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আশপাশে কারো করোনা হয়নি। আর করোনা ধরলে, মাস্ক পরলেও ধরবে।’
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৩৬ টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ৪৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। নতুন করে কেউ মারা না যাওয়ায় মোট মৃত্যু ৬৮৮ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার করোনা বিশেষায়িত ৩টি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৮জন।
শনিবার শহরের বিভিন্ন স্থানে ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দেখা গেছে। তারা জরিমানা আদায়সহ পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন শহরে মাস্ক বিতরণ করেছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে; লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানাও করা হচ্ছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।